রাজন ভট্টাচার্য ॥ সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি বিশ্বব্যাপী চলছে করোনার ঝড়। স্মরণকালের বৈশ্বিক এই মহামারীতে এখন পর্যন্ত ৮১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ সাড়ে ৩৯ হাজারের বেশি। আর সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৪২ লাখ মানুষ। গত আট মার্চ করোনা শনাক্ত হওয়ার ১০১ দিনের মাথায় মঙ্গলবার বাংলাদেশে রেকর্ড আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের, আক্রান্ত তিন হাজার ৮৬২! বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। দিন দিন আরও বেশি চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড-১৯। ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে চলছে রীতিমতো মহামারী।
এই প্রেক্ষাপটে সবার একই জিজ্ঞাসা কবে থামবে করোনার থাবা। আদৌ কি বন্ধ হবে চলমান এই ঝড়। নাকি ঝুঁকি মাথায় নিয়েই চলবে বিশ্ব। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের গবেষকরা করোনা নিয়ে নানা আশার কথা শোনালেও কোনটাই কাজে আসছে না। একেকজন নিজের মতো করে করছেন ভবিষ্যতবাণী। আবার কারও কারও বক্তব্য, টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাস প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই। সংক্রমণ রোধে বিকল্প পথ হলো মাস্ক ব্যবহারসহ সর্বোচ্চ সচেতন থাকা। বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারে রীতিমতো মরিয়া। অনেক টিকা পরীক্ষামূলক। তবে সুনির্দিষ্ট করে যদি বলা হয়, এখন পর্যন্ত করোনার টিকা আবিষ্কারে আশার আলো নেই।
সবমিলিয়ে কেউ জানে না কবে থামবে মহামারী ‘করোনা’ ঝড়। যতদিন যাচ্ছে বিশ্ব পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস, যার চরিত্র সম্পর্কে কারও কোন ধারণা নেই। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত নিজের চরিত্রই বদলে ফেলছে ভাইরাসটি। অতীতে যে কোন মহামারী ১২ থেকে ৩৬ মাস স্থায়ী হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় ‘করোনা’ কতদিন স্থায়ী হতে পারে সেটা অনেকখানি নির্ভর করছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ওপর।
দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃতুর সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে দুঃশ্চিন্তা। তেমনি প্রতিরোধে জোনভিত্তিক যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। আক্রান্ত বিবেচনায় জোন করা হলেও সেখানে কিভাবে লকডাউন কার্যকর করা হবে তা নিয়ে কারও কোন স্বচ্ছ ধারণা নেই। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর এই প্রথম একদিনে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। একদিনে ৫৩ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১ হাজার ২৬২ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৩ হাজার ৮৬২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪ হাজার ৪৮১ জনে। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২৬৪ জনে।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬১টি পরীক্ষাগারে ১৭ হাজার ২৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করেছে করোনা ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অনেকটাই সামনের সারিতে। ফিলিপাইনের স্বাস্থ্যবিষয়ক সচিব মারিয়া রোজারিও ভার্জায়ার সম্প্রতি বলেছেন, কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস মহামারীটি স্থায়ী হতে পারে।
তবে বর্তমান সংক্রমণের হারের নিরিখে আগামী দু’সপ্তাহে তা কি রকম হতে পারে তার একটি আভাস দিয়েছেন চেন্নাইয়ের ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল য়েন্সেস’-এর অধ্যাপক তথা ব্যাঙ্গালুরুর ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এ্যাডভান্সড স্টাডিজ’-এর ফ্যাকাল্টি শীতাভ্র সিংহ। তার কথায় লোকজনের এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়াত (পপুলেশন মুভমেন্ট), একজনের থেকে অন্যের দেহে প্যাথোজেনের সংক্রমণ, মাস্ক পরা, দূরত্ব-বিধি মানায় অনীহাসহ একাধিক বিষয়ের ওপরে সংক্রমণের হার নির্ভর করে। বর্তমান হারে সংক্রমণ ছড়াতে থাকলে আগামী দু’সপ্তাহে করোনার এ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার থেকে ২ লাখ ৩৬ হাজার হতে পারে। তবে নিয়মে শিথিলতা চলতে থাকলে আগামী ১৫ দিনে এ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ লাখ ৯৬ হাজার বা তিন লাখও হতে পারে। ভারতের আক্রান্তের বিবেচনায় তিনি এই ভবিষ্যতবাণী করেছেন।
পপুলেশন এ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সদস্য তথা ‘পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া’র গবেষক-বিজ্ঞানী বিজয়কুমার মিশ্রের কথায়, ‘আমেরিকা নিজেদের যাবতীয় তথ্য গবেষকদের দিচ্ছে। কারণ সেখানকার সরকার বুঝতে পেরেছে ঠিক তথ্য ছাড়া সংক্রমণের গতি প্রকৃতি বোঝা সম্ভব নয়। তাই নির্ভুল তথ্য পাওয়াটা জরুরী। তা নাহলে এ দেশে সংক্রমণ কোথায় থামবে বোঝা অসম্ভব।
দ্য ইন্ডিয়ান ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট তথা ব্যাঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট’ (আইএসআই)-এর ‘স্ট্যাট-ম্যাথ’ ইউনিটের অধ্যাপক বি সুরির কথায়, বর্তমানে সংক্রমিত রোগীর যে সংখ্যাটা পাচ্ছি ফলিত স্তরে তার থেকে সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি হওয়ার আশঙ্কা। তাই অসম্পূর্ণ তথ্য থেকে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে পূর্বাভাস করা কঠিন।
ভার্জায়ার রাষ্ট্র পরিচালিত পিটিভি-৪ এ প্রচারিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছিলেন, এ্যাং আতিন পং-এর গণনা বিজ্ঞানীরা আমাদের জানিয়েছেন, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আমাদের গণনা বিজ্ঞানীরা গাণিতিক চিহ্ন ও বৈজ্ঞানিক পরিসংখ্যান মিলিয়ে অনুমান করে থাকেন। টিকা আবিষ্কার নাহলে এটি ঘটবে।’
ডাইরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (জনস্বাস্থ্য) চিকিৎসক অনিল কুমার ও ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রুপালি রায়ের বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ভারতের অনলাইন জার্নাল এপিডেমিওলজি ইন্টারন্যাশনালে। বেইলির গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছেন, ক্রমশ কমতে কমতে আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কার্যত শূন্যে নেমে আসবে করোনা সংক্রমণ।
এই গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে তারা মহামারীর মোট ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে অর্থাৎ আক্রান্ত ও আরোগ্যের সংখ্যা বিচার করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। দুই বিশেষজ্ঞের মতে, সংক্রমিত ব্যক্তির সুস্থ হওয়া অথবা মৃত্যু পর্যন্ত এই সংক্রমণ মাত্রা কিন্তু চলতেই থাকবে। কারণ তারা সেখানে ভাইরাসের উৎস হিসেবে কাজ করছেন।
তবে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানাচ্ছেন পিলে চমকে যাওয়া খবর। বলছেন এ প্রাণঘাতী ভাইরাস আরও ৪ বছর থাকতে পারে। তদের মতে আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকবে করোনাভাইরাসের হুমকি। এ ভাইরাস মোকাবেলায় ২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হতে পারে। পাঁচজন গবেষকের এ গবেষণা মঙ্গলবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী দুই বছর টানা এক জায়গায় থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। তবে যদি করোনার কোন ভ্যাকসিন এই সময়ের মধ্যে আবিষ্কার না হয় তাহলে এটা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
গবেষকরা আরও বলেন, করোনা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির দিকে আরও নজর দেয়া উচিত যেহেতু ভাইরাসটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে হার্ভার্ডের গবেষকদের এ পর্যবেক্ষণ হোয়াইট হাউসের পূর্বাভাসের একদম বিপরীত। হোয়াইট হাউস থেকে এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, এই গ্রীষ্মেই করোনাভাইরাস মহামারী দূর হয়ে যাবে। চীনের প্রধান ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডঃ ঝং নানশান দাবি করেছেন যে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো বিশ্ব বদলে যাবে। মানে আগের মতোই হবে। করোনার ভাইরাসের নতুন কেস আসা কমবে। পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস।
করোনার থাবায় পৃথিবীর তিন ভাগের একভাগ মানুষ এখন পুরোপুরি লকডাউনে। করোনাভাইরাসের কূল-কিনারা খুঁজতে গিয়ে পৃথিবীর বিখ্যাত সব বিজ্ঞানী, গবেষক, চিন্তক এক গভীর অন্ধকারে ডুবে গেছেন। কবে, কিভাবে থামবে করোনা সংক্রমণ? এখনও এর কোন সদুত্তর নেই কারও কাছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পক্ষ থেকে বিশ্বখ্যাত ভাইরোলজিস্ট গুইডো ভ্যানহ্যামের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে মাত্র দুটি প্রশ্নকে ভিত্তি করে।
এক প্রশ্নের জবাবে (ফরমার হেড, ডিপার্টমেন্ট অব ভাইরোলজি, ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিকাল মেডিসিন, বেলজিয়াম) ভ্যানহ্যামের বলেন, এক অর্থে বলতে গেলে, এই ভাইরাস আসলে থামবে না যতক্ষণ না আমরা তা থামাতে পারি। যতক্ষণ না আমরা এই ভাইরাসকে নির্মূল করতে পারি, ততক্ষণ পর্যন্ত ভাইরাস তার বিস্তৃতি বাড়াতেই থাকবে। এই ধরনের ভাইরাসকে নির্মূল করতে আমাদের দরকার খুবই কার্যকরী প্রতিষেধক যা প্রতিটি মানুষের ওপরে প্রয়োগ করতে হবে। এ রকম গণহারে প্রতিষেধক প্রয়োগ এখন পর্যন্ত কেবল স্মলপক্সের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। তাতেও লেগে গেছে অনেক বছর।
সুতরাং বলা যায়, এই ভাইরাস আপাতত থেকে যাচ্ছে। এই ভাইরাস একটি ভাইরাস পরিবারের সদস্য, আমরা এখন অনেকেই জানি, সেই ভাইরাস পরিবার হলো করোনাভাইরাস। এখন এই ভাইরাস অন্যান্য ভাইরাস থেকে আলাদা কি ধরনের আচরণ করে সেটা দেখা। হতে পারে এটা প্রতিবছর ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফিরে ফিরে আসবে। শীত, বসন্ত, শরতে এটা হয়তো নিয়ন্ত্রণহীন আচরণ করবে আবার গ্রীষ্মে কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। এখন আমাদের দেখতে হবে বিভিন্ন ঋতুতে এর কি প্রভাব পড়ে।
কিন্তু একটি বিষয়ে এই মহামারী এক ধরনের দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছে। স্পেন ও ইতালি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দুটি দেশ। তাদের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যদি ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হয়ে যায় তখন প্রাকৃতিকভাবেই হয়তো মহামারী থেমে যাবে। অতীতকালে বিভিন্ন মহামারীতে যখন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি, তখন এমনটিই ঘটেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ও মানুষের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর নিরীক্ষা করে বলা যাবে এই ভাইরাসের প্রকোপ ঠিক কিভাবে থামবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি এটি অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস। এখন পৃথিবীর প্রায় সবাই এটি জানেন। আমরা যা জানি না তা হলো, এই সংক্রমণের মাত্রা। এটি জানতে আমাদের আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হবে।
আমরা জানি, মানুষের দেহে এন্টিবডি তৈরি হয়। এই এন্টিবডি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা যুদ্ধ করে। আমরা চীনের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি দেখেছি। কিন্তু এই এন্টিবডি আসলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটা যুদ্ধ করতে পারে তা এখনও আমরা নিশ্চিত না।
...কিন্তু এটা কতদিন, কত মাস বা কত বছর কাজ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। ভবিষ্যতে এই মহামারীর বিষয়ে আমাদের এই তথ্যের ওপর কিছুটা নির্ভর করতে হবে। তবে আপাতত যেটা মনে হচ্ছে আমরা এর মাত্রা কমিয়ে আনতে পারি, আমরা হয়তো পরিসংখ্যানের সংখ্যাগুলোকে কিছুটা কমাতে পারি। তবে এটাকে একেবারে নির্মূল করতে পারব না। কারণ এক পর্যায়ে গিয়ে আমাদের ঘর থেকে বের হতে হবে। আমাদের কাজে যেতে হবে। আমাদের স্কুলে যেতে হবে। যদিও আমরা কেউ জানি না, সেটা কবে সম্ভব। তিনি বলেন, ...আমরা অবশ্যই একটি পথ খুঁজে পাব। কিন্তু এরজন্য হয়তো আমাদের এক বছর কিংবা তার কাছাকাছি সময় লেগে যেতে পারে।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাদের এন্টিবডি শক্তিশালী হওয়ায় চিকিৎসা সেবা নিতেই হয় না। তারা সবসময় সুস্থ থাকেন। চীনে এ বিষয়ে ক্লু পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে আপনার রক্তের গ্রুপ হয়তো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে। তবে এটি খুবই প্রাথমিক স্তরের তথ্য। এখন থেকে এক বছর কিংবা তার কিছু পরে হয়তো আমরা এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্য হাতে পাব।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: