ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ১৬ জুন ২০২০

দুর্যোগপ্রবণ এলাকা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতায় বিপন্ন সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি। সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা, এলাকার উন্নয়নে পৃথক অথরিটি গঠন এবং সেই অথরিটিকে পর্যাপ্ত বরাদ্দসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করা হয় । সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আনিসুর রহিম। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার মানুষ নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলেছে। এলাকার লাখ লাখ মানুষ এখন কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও এই এলাকায় দারিদ্র পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। শিক্ষাসহ অন্য সূচকেও এই এলাকা পিছিয়েই থাকছে কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। মানববন্ধনের বক্তারা আরও বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার পর ২০১০ সালের ২৩ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও খুলনার কয়রা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানান। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং বাঁধ কেটে, পাইপ ঢুকিয়ে এলাকার লোনা পানি তোলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির কারণে দীর্ঘ ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে অনেক কম গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানলেও বেড়িবাঁধের ক্ষতি ভারতের চেয়ে বাংলাদেশেই বেশি হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাডভোকেট শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সুধাংশু শেখর সরকার, আবুল হোসেন, আব্দুল বারী, এম কামরুজ্জামান, এ্যাডভোকেট খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, এ্যাডভোকেট আল মাহমুদ প্রমুখ।
×