ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শায়েস্তাগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের দু’পাশে সবুজের সমারোহ

প্রকাশিত: ২২:৪১, ১৬ জুন ২০২০

শায়েস্তাগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের দু’পাশে সবুজের সমারোহ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ১৫ জুন ॥ শায়েস্তাগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়ক। এ সড়কের কামাইছড়া থেকে সাতগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার পথে সবুজের সমারোহ। যাতায়াতকালে লোকজন এ সবুজ রূপ অবলোকন করে মুগ্ধ হচ্ছেন। পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ৭ কিলোমিটার সড়কপথের দুই পাশে রশিদপুর, আমতলী, সাতগাঁও চা ও রাবার বাগান সবুজ গাছপালায় বেষ্টিত রয়েছে। অনেক গাছে মৌসুমি ফুল ফুটেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সবুজ গাছগুলো আরও সেজে উঠছে। এ পথের যাত্রীরা এ সবুজ অবলোকন করে তৃপ্তি পাচ্ছেন। বন গবেষক আহমদ আলী জানান, ৭ কিলোমিটার সড়ক ছবির মতো সাজানো। এ পথের সবচেয়ে সাজানো বাগান আমতলী চা বাগান। এটি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৬০০ একর জমিতে অবস্থিত। এ বাগানটির এক পাশে রশিদপুর চা বাগান ও অপরদিকে সাতগাঁও চা বাগান। সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় সাজানো রয়েছে আমতলী চা বাগানটি। টিলা আর ঢালু জমিতে চা গাছ লাগানো রয়েছে। মাঝে মাঝে জঙ্গল। চা গাছের পাশাপাশি রাবার গাছ লাগিয়ে রাবার উৎপাদন করা হচ্ছে। রয়েছে নানা প্রজাতির ফলের গাছ। দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি বাংলো। নির্মাণ করা হয়েছে একটি মসজিদ। অনেকে কিছু সময় গাড়ি থামিয়ে বাগানটি দেখে যাচ্ছেন। বাগানের তাজা চা পাতার স্বাদ নিতে অনেকে পছন্দ করেন। এদিক লক্ষ্য করে বাগানের গেটের কাছে, বাগান কর্তৃপক্ষ ‘সিলোটি’ নামে দোকান তৈরি করেছেন। এ দোকান থেকে যাতায়াতকারীরা বাগানের খাঁটি তাজা চা পাতা ক্রয় করছেন। ২০১১ সালের দিকে সরকারের অনুমতি নিয়ে চিত্রা হরিণ পালন শুরু করে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। আলাপকালে বাগানের ম্যানেজার সোহেল রানা পাঠান বলেন, নিবিড়ভাবে বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে। এতে চা-গাছগুলো সাজানো রয়েছে। উৎপাদন হচ্ছে মানসম্মত চা-পাতা। তিনি বলেন, চিত্রা হরিণ পালন করার জন্য বাগানের দুই বিঘা জমির চারদিকে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ করে শুরুতে একটি পুরুষ ও একটি মহিলা চিত্রা হরিণ অবমুক্ত করা হয়। সেটি পর পর বাচ্চা দিচ্ছে। হরিণের খাদ্যের জন্য এ জমিতে রয়েছে প্রাকৃতিক ঘাস, আমলকী, বহেড়া গাছ। এর সঙ্গে খাদ্য হিসেবে প্রতিদিন তাজা সবজি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
×