ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইপিএলের স্টিফেন টেলর বসুন্ধরা কিংসে!

প্রকাশিত: ২২:৪০, ১৬ জুন ২০২০

ইপিএলের স্টিফেন টেলর বসুন্ধরা কিংসে!

রুমেল খান ॥ দেশের আলোচিত-শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংস তাদের ভক্ত-সমর্থক-অনুরাগীদের নতুন চমক দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবার তাদের ক্লাবের জার্সিতে দেখা যেতে পারে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের (ইপিএল) ফুটবলার! ১৩ বছর নিউক্যাসল ইউনাইটেডে খেলা স্টিভেন টেলরের সঙ্গে তাদের শুরু হয়েছে যোগাযোগ। একইসঙ্গে ইরাক আর বলিভিয়া জাতীয় দলের ফুটবলারের সঙ্গেও হচ্ছে যোগাযোগ। অক্টোবরে এএএফসি কাপের ম্যাচে দেখা যাবে বিদেশী নতুন মুখ। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান। বড় চমক আসন্ন। ড্যানিয়েল কলিনড্রেসের বসুন্ধরাকে বিদায় যদি হয় দলটার ধাক্কা, তবে ধামাকা হতে পারেন স্টিভেন টেলর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা প্রথম ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষ লীগ মাতানোর অপেক্ষায় সাবেক নিউক্যাসেল ডিফেন্ডার। চূড়ান্ত চুক্তির অপেক্ষা। তার আগে দলটির থিংকট্যাঙ্কের নানা পর্যবেক্ষণ নিউক্যাসেলের হয়ে ১৩ বছরে ২৬৮ ম্যাচ খেলা ফুটবলারকে ঘিরে। দেশের ক্লাব ফুটবলে পেশাদারিত্বের বিপ্লব ঘটানো দলটা যেন নিজেদের ক্লাসকে আরও একধাপ উন্নীত করতে চায়। টেলরের ড্রিবলিং-ট্রেনিং তাই আকর্ষণের কেন্দ্রে। স্টিভেন টেলরের ক্যারিয়ার হাইলাইটস আকর্ষিত করবে যে কোন দলকেই। শীর্ষ লীগে খেলা ফুটবলার জাতীয় দলে ডাক পেলেও শেষ পর্যন্ত জড়ানো হয়নি থ্রি লায়ন্স জার্সি। তবে বসুন্ধরা মরিয়া নিজ জার্সিতে টেলর বরণে। তবে চুক্তি আর চমকের ব্যাপারে কৌশলী কিংস। এছাড়াও কিংস রাডারে রয়েছে লাতিন আমেরিকা আর এশিয়ার ক’জন জাতীয় দলের ফুটবলার। বিদায় নিয়েছেন তাজিক ডিফেন্ডার আখতাম নাজারভ, নতুন মুখ খুঁজে পেলে কিংস অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার নিকোলাস দেলমন্তে আর কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুইশোবেকভের। তবে কোচিং প্যানেলের সঙ্গে করা হয়েছে চুক্তি নবায়ন। স্প্যানিশ হেড কোচ অস্কার ব্রুজোন আর স্বদেশী ফিটনেস কোচ জাভিয়ের সানচেজের ওপরেই আস্থা রেখেছে কিংস। ২০১৯-২০ মৌসুমের লীগ হয়েছে বাতিল ক্লাবটির একমাত্র মিশনই এখন এএফসি কাপ। সেই সঙ্গে আগামী মৌসুমের জন্যও বিদেশী ফুটবলার চূড়ান্ত করে ফেলতে চায় ‘দ্য কিংস’ খ্যাত বসুন্ধরা। ৩৪ বছর বয়সী স্টিভেন ভিনসেন্ট টেলরের জন্ম ইংল্যান্ডের লন্ডনের গ্রিনউইচে। উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। ১৯৯৫-০৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ওয়ালসেন্ড বয়েস ক্লাব এবং নিউক্যাসল ইউনাইটের যুবদলে। শেষের ক্লাবটির সিনিয়র দলের হয়ে গাঁটছড়া বাঁধেন ২০০৩ সালেই। একটানা খেলে যান ২০১৬ সাল পর্যন্ত। এই দলের হয়ে ২০০৬ সালে উয়েফা ইন্টারটোটো কাপ এবং ২০০৯-১০ মৌসুমে ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার স্বাদ পেয়েছেন। এছাড়া গত তিন বছরে খেলেছেন ইংল্যান্ডের উইকম্বি ওয়ান্ডারার্স (ধারে), যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড টিম্বার্স, পোর্টল্যান্ড টিম্বার্স টু (ধারে), ইপসউইচ টাউন, পিটারবরাগ ইউনাইটেডে। বর্তমানে খেলছেন নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ফিনিক্সের হয়ে। ডিফেন্ডার হয়েও কর্নার থেকে গোল করতে পটু টেলর। এ পর্যন্ত মোট ৩৬৩ ক্লাব ম্যাচে করেছেন ২১ গোল, যার ১৫টিই নিউক্যাসলের জার্সিতে। একমাত্র ইপসউইচ টাউনে খেলতে গিয়েই কোন গোল পাননি তিনি (৩ ম্যাচে ০ গোল)। ২০০১-০৭ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার স্থায়ী হয় টেলরের। খেলেছেন ইংল্যান্ড অ-১৬, ১৭, ২০, ২১ এবং ইংল্যান্ড ‘বি’ দলে। মোট ৫৮ ম্যাচে খেলে করেন ৪ গোল। সব গোলই অ-২১ দলের হয়ে (ম্যাচ-২৯)। দু’বার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে দুর্ভাগ্যবশত একবারও খেলতে পারেননি টেলর। প্রথমবার ডাক পান ২০০৭ সালের আগস্টে, জার্মানির বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জন্য। কিন্তু ঠিক একই সময় ইংল্যান্ড ‘বি’ দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকায় সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয়নি টেলরের। দ্বিতীয়বার ডাক পান ২০১৩ সালের মার্চে। সান মারিনোর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য আহত গ্যারি কাহিলের পরিবর্তে জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পান টেলর। কিন্তু তাকে সেই ম্যাচেও খেলানো হয়নি! এথন দেখার বিষয়, টেলরকে নিজেদের ডেরায় ভেরাতে পারে কি না এবং ভেরাতে পারলে কিংসের হয়ে কতটা সাফল্য পান টেলর।
×