ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফিটনেস ধরে রাখতে কোচ ছোটনের পরামর্শ

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ১৬ জুন ২০২০

ফিটনেস ধরে রাখতে কোচ ছোটনের পরামর্শ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশর এক মহাসঙ্কটে নিপতিত। সেই সঙ্কটের নাম করোনাভাইরাস। এই মরণঘাতী ব্যাধির কবল থেকে রক্ষা পেতে দেশ আজ অঘোষিত লকডাউনে। তাই খেলাধুলা সব বন্ধ। বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে আবারও মাঠে গড়াতে পারে মহিলা ফুটবল লীগ। এছাড়াও আছে মেয়েদের সাফ অনুর্ধ-১৫ ও অনুর্ধ-১৮’র খেলাও। মহিলা ফুটবলাররা যে যার দেশের বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন। করোনার বিশাল বিরতির পর, এবার নারী ফুটবলারদের খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফের দাবি, ছুটিতে বাড়িতে থাকলেও সর্বক্ষণ ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের। মেয়েদের ফিটনেস ঠিক রাখতে নিয়মিতই বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। করোনা পরবর্তী সময়ে মাঠে ফুটবল ফিরলেই যাতে ফিট অবস্থায় ফুটবলারদের পাওয়া যায় সে চেষ্টাই করছে ফেডারেশন। করোনাভাইরাসে ফাঁকা বাফুফে। খালি পড়ে আছে সবুজ টার্ফ। গুটিকয়েক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়া বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেও একই অবস্থা। স্টেডিয়াম আর টার্ফের মতোই অবস্থা বাংলাদেশের ফুটবলেরও। শেষ কবে বল দখলের লড়াই হয়েছিল, বলতে হলে হিসেব করতে হবে যে কাউকেই। ফুটবল নিয়ে ইদানীং যা একটু আলোচনা হয়, তার পুরোটা জুড়েই শুধু আসন্ন নির্বাচন। মাঠের খেলা নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই আপাতত কারোই। ক্লাবদের সুবিধা দিতে গিয়ে অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পুরুষদের ফুটবল লীগ। আবার কবে নাগাদ শুরু হবে জানা নেই সেটাও। মেয়েদের লীগ নিয়ে অবশ্য সেরকম কোন কথা শোনা যায়নি এখনও। এখন বন্ধ থাকলেও আগামী সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে যা কিছু সাফল্য তার পুরোটার কৃতিত্বই সাবিনা-কৃষ্ণাদের। সে জন্যই হয়তো বাফুফের ভাবনাটাও বেশি তাদের নিয়েই। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ ছোটন বলেন, ‘১৭ মার্চ আমাদের শেষ প্র্যাকটিস হয়েছে। তারপর মেয়েরা যার যার বাড়িতে ভালভাবেই পৌঁছে। তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর প্রতিনিয়তই নেয়া হয়।’ কিছুদিন মাঠে না থাকলেই ফিটনেসের অবস্থা যাচ্ছেতাই হয়ে যায় মেয়েদের। সারাবছর তাই ক্যাম্প করে, তাদের ব্যস্ত রাখে বাফুফে। করোনা এবার সে সুযোগটাও কেড়ে নিয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে এখন আর চিন্তা করছেন না নারী দলের কোচ। শারীরিকভাবে তাদের সঙ্গে থাকা সম্ভব না হলেও, ভার্চুয়ালি নিয়মিতই তাদের দিয়েছেন ফিট থাকার টোটকা। তিনি বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে সাফের দুটি বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা আছে। আমরা আশা করছি এরই মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এই মহামারী থেকে রক্ষা পাব। সবধরনের খেলা মাঠে শুরু হবে। মেয়েরা আগে যেমন পারফর্মেন্স করেছে, সাফল্য পেয়েছে, ভবিষ্যতেও তা ধরে রাখতে পারবে।’ আর যোগ করেন ছোটন, ‘সর্বশেষ কয়েক বছরে মেয়েদের ফুটবলে ব্যস্ত সময় গেছে। আগে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি তাদের ফিটনেস লেভেল সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার জন্য। এখন করোনার কারণে সবকিছু থমকে গেছে। ফিটনেস লেভেলও কমে যাওয়ার কথা। তবে আমরা মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। বাড়ির উঠানে তারা যেন কিছু অনুশীলন করতে পারে, সেটাই বলা হয়েছে। যেন ফিটনেস লেভেল কাছাকাছি পর্যায়ে থাকে। দুই মাসের ওপরে হয়ে গেছে। তাদের ফিটনেস লেভেল তো অবশ্যই কমে এসেছে। মানসিকভাবেও একটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। সেটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছি।’
×