ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রয়াত শিষ্য মানিককে নিয়ে গুরু বাবলুর স্মৃতিচারণ

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১৬ জুন ২০২০

প্রয়াত শিষ্য মানিককে নিয়ে গুরু বাবলুর স্মৃতিচারণ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মানিক তো আমার শিষ্য ছিল। আমি যখন খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার। তখন মানিক আরামবাগ ছেড়ে সবেমাত্র ব্রাদার্সে যোগ দিয়েছে। ব্রাদার্সে যোগ দিয়েই মানিক জাতীয় দলে ডাক পেল প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে খেলতে।’ সাবেক জাতীয় ফুটবলার নুরুল হক মানিকের অকাল প্রয়াণে সোমবার ফোনে জনকণ্ঠকে কথাগুলো জানান হাসানুজ্জামান খান বাবলু। সাবেক জাতীয় ফুটবলার এবং রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই খেলোয়াড় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আরও বলেন, ‘কদিন আগে আমার আরেক শিষ্য সালাউদ্দিনও মানিকের মতো করোনোয় আক্রান্ত হয়ে চলে গেল। রায়েবাজার বধ্যভূমি গোরস্তানে মানিককে দাফন করা হয়। দাফনের সময় মানিকের ছোট ভাইকে থাকার অনুমতি দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। শিষ্য মানিক কেমন ফুটবলার ছিলেন? বাবুলের মূল্যায়ন, ‘মানিক যখন খেলেছে। তখন তার সময় দেশের সেরা দু’জন মিডফিল্ডারের একজন ছিল সে। অন্যজন আরমান মিয়া। জাতীয় দলে যতদিন খেলেছে দাপটের সঙ্গেই খেলেছে।’ শিষ্যের সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন ছিল সেটাও জানান বাবলু, ‘আমি যখন ফুটবলার হিসেবে অবসর নিই, তারও আগে থেকেই মাঠে গিয়ে মানিক আমার খেলা দেখেছে। ব্রাদার্সে এসেই সে আমাকে ম্যানেজার হিসেবে পেল। আমাকে দারুণ সম্মান আর শ্রদ্ধা করতো সে। চার মাস আগে ওর মেয়ের বিয়েতে আমরা সবাই গেলে ও ভীষণ খুশি হয়েছিল। ওর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল।’ সোনালি অতীত ক্লাবে মানিকের সম্পৃক্ত হবার পেছনেও আছে বাবলুর হাত, ‘ব্যবসায় লোকসান করে মানিক তখন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল। উদভ্রান্ত হয়ে প্রায়ই পথেঘাটে ঘুরতো। তখন আমি তাকে ধরে জোর করেই সোনালি অতীত ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দিই। সোনালি অতীতে আমি মাসের ৩০ দিনই অনুশীলন করতাম। মানিকও আমার সঙ্গে তাই করতো।’ মানিকের সঙ্গে সর্বশেষ কবে কথা হয়? বাবলু ফিরে যান সপ্তাহখানেক আগে, ‘গত সপ্তাহে মানিক আমাকে ফোনে বলে, বাবলু ভাই, করোনার জন্য তো সোনালি অতীতের প্র্যাকটিসটাও বন্ধ করে দিলেন। বাসায় বসে থেকে হাঁফিয়ে উঠেছি। দয়া করে আবারও প্র্যাকটিসটা চালু করেন না। আমি তখন করোনোর দোহাই দিয়ে হাল্কা ধমক দিয়েছিলাম মানিককে।’
×