ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিলারশিপ বাতিল

খাগড়াছড়িতে ৯ প্রতিবন্ধীর চাল আত্মসাত

প্রকাশিত: ০০:১৮, ১৪ জুন ২০২০

খাগড়াছড়িতে ৯ প্রতিবন্ধীর চাল আত্মসাত

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ মাটিরাঙা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হতদরিদ্রদের চাল না দিয়ে চার বছর ধরে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ডিলার মোমিন মিয়ার বিরুদ্ধে। কার্ডধারীদের অভিযোগ চার বছর আগে ওএমএসের কার্ড থাকলেও তারা চাল পাননি। আবার কয়েক জনকে ২/১বার চাল দেয়ার পর জানিয়ে দেয়া হয় তাদের কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। এছাড়া তালিকায় এক ব্যক্তির নাম দুই বার দিয়েও সে চাল আত্মসাত করা হয়েছে। নতুন ডিলার নিয়োগের পর বঞ্চিতদের নাম প্রকাশ পায়। তবে অভিযুক্ত ডিলারে দাবি করেছে এসব তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। মাটিরাঙায় সরকারের ভর্তুকি দেয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর (ওএমএস) তালিকায় নাম থাকার পর ৪ বছর ধরে বঞ্চিত হয়েছেন প্রতিবন্ধীসহ ৯ কার্ডধারী। করোনাকালে কালো বাজারে চাল চুরির অপরাধে অভিযুক্ত ডিলার মমিনের ডিলারশিপ বাতিল হয়। বঞ্চিত কার্ডধারীরা গত চার বছর ধরে চাল না পাওয়ায় সুবিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছে। কার্ডধারী প্রতিবন্ধী যগুনবালা ত্রিপুরাকে ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কমূসচীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এক কিস্তিতে চাল পাওয়ার পর জানিয়ে দেয়া হয় তার কার্ডটি বাতিল হয়ে গেছে। তার ভাই রণজিত ত্রিপুরা এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছে। মাটিরাঙা গোমতি বাজার সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ‘আমি চাল পেয়েছি মাত্র ৩/৪বার। একবার চাল তুলতে গেলে ২-৩টি টিপসই নিয়ে রাখা হতো। তালিকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে এক ব্যক্তির একাধিক নাম রয়েছে। তালিকায় ১৪২ এবং ১৬৬ নং কার্ড দেয়া হয়ে আব্দুল কাদেরকে। এভাবে ভুয়া কার্ড দেখিয়ে চাল আত্মসাত করেছে ডিলার। করোনাকালে কালোবাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিক্রির অপরাধে ডিলারশিপ বাতিল হয় মোমিনের। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক তিনি। নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন ডিলার মো. রেহান উদ্দিন জানান, ‘মাস্টার রোলে অর্থাৎ তালিকায় এদের নাম আছে কিন্ত তাদের কাছে কার্ড নাই। তারা কেন এতদিন চাল পায়নি সেটা আমি জানি না। তবে অভিযুক্ত ডিলার মমিন মিয়া চাল আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান কার্ড দেয় চেয়ারম্যান মেম্বার। আমি কার্ড অনুযায়ী সবাইকে চাল দিয়েছি। এসব তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমার কাছে কোন কার্ড জমা নেই। অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ জানান কালোবাজারে চাল বিক্রির অপরাধে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে । তার ডিলারশিপও বাতিল করা হয়েছে।
×