ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিকে বাড়ছে রোগী

প্রকাশিত: ০০:১৬, ১৪ জুন ২০২০

বাগেরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিকে বাড়ছে রোগী

বাবুল সরদার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর চাপ বাড়ছে। নানামুখী সঙ্কট, সমস্যা ও দুর্বলতা সত্ত্বেও গ্রামীণ জনপদে অধিকাংশ সেবাগ্রহীতা কমিউনিটি ক্লিনিকে আসছেন। বিশেষ করে করোনা সংক্রমণ এড়াতে গ্রামীণ জনপদের মানুষেরা উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ির পাশে ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা ঝুঁকি প্রতিরোধে নিরাপত্তা সামগ্রী পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস দেয়া হয়েছে। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশমতে সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন। ফলে অনাকাক্সক্ষী মৃত্যু ও ভোগান্তি হ্রাস পাচ্ছে। স্থানীয়রা সেবা পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করছেন। সরেজমিনে উপজেলার বারইখালী, প্রতাপপুর, টেংরাখালী, মালিপটন, পিংগুরিয়া ও চরকাঠী কমিউনিটি ক্লিনিকে নানাবয়সী রোগীকে সেবা নিতে দেখা গেছে। সেবাগ্রহীতাদের অধিকাংশ সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রসূতি বা ডেলিভারির জন্য পৃথক কক্ষ না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সংস্কারের অভাবে কোন কোন কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন জরাজীর্ণ দেখা গেছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রদীপ কুমার বকসী বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩২ প্রকার ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রত্যেক সিএইচসিপিকে করোনা সংক্রমণের সুরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে। সঙ্কটময় সময়ে সিএইচসিপিরা সাহসিকতার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বা”ুচ, বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মনোয়ার হোসেন টগর ও কাড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম বশির বলেন, গ্রামীণ জনপদে কমিউনিটি ক্লিনিকের জনপ্রিয়তা করোনা পরিস্থিতিতে দ্বিগুণ বেড়েছে। করোনার কারণে গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রাথমিকভাবে বাড়ির পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। তবে অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও যন্ত্রপাতি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে মরেন। বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যন শংকর চক্রবর্তী ও গোটাপাড়া ইউপি শমসের আলী বলেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, অবকাঠামো, ওষুধ ও লোকবল বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। রোগীর চাপ আরও বেড়েছে উল্লেখ করে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ কে. এম হুমায়ুর কবীর বলেন, জেলায় ২১২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বর্তমানে ২০৫টি চালু রয়েছে।
×