ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোর্টে ফেরার স্বপ্নে বিভোর সিতলিনা

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ১৪ জুন ২০২০

কোর্টে ফেরার স্বপ্নে বিভোর সিতলিনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে স্তবির গোটা পৃথিবী। যে কারণে সবকিছুর মতো স্থগিত হয়ে পড়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনও। তবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার চেষ্টা করছে। এই সময় ক্রীড়াঙ্গনেও দেখা গেছে স্বস্তির খবর। ইতোমধ্যেই ফুটবল মাঠে গড়িয়েছে। জার্মনা বুন্দেসলিগা, স্প্যানিশ লা লিগার পর শুক্রবার থেকে মাঠে গড়িয়েছে ইতালির ফুটবলও। যে কারণে এবার টেনিসেও স্বপ্ন দেখছেন খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে খুব দ্রুতই টেনিসে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন ইউক্রেনের তারকা খেলোয়াড় এলিনা সিতলিনা। এ প্রসঙ্গে সিতলিনা বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে ইউএস ওপেন এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন বড় দুটি টুর্নামেন্টই হওয়ার দারুণ সুযোগ দেখা যাচ্ছে। কেননা ধীরে ধীরে সবকিছুই খুলতে শুরু করেছে। যদিওবা এই সময়টাতে মানতে হবে কড়া বিধি-নিষেধ। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকেই টেনিসের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে যাবে। যদিওবা এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন রকমের ঘোষণা আসেনি। কিন্তু তারপরও আমি ঠিক এমনটাই মনে করছি। সে জন্য আমার দ্রুতই অনুশীলনে ফেরা উচিত বলে মনে করি।’ করোনাভাইরাসের থাবায় ইতোমধ্যেই বাতিল হয়েছে বিশ্ব টেনিসের মর্যাদার আসর উইম্বলডন। যে কারণে ইউএস ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন কোর্টে গড়ানো নিয়েও দেখা দেয় শঙ্কা। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি কিছুটা কমার দিকে যাওয়ার কারণেই সম্ভাবনার আলোটা উজ্জ্বল হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেনের। এ বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে শেষ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। এরপরই মোড় নেয় বৈশ্বিক পরিস্থিতি। কোভিড ঝুঁকিতে একে একে বাদ হয় ক্রীড়াজগতের সব বড় আসর। ফুটবল, ক্রিকেট, অলিম্পিকের পর যার সর্বশেষ শিকার মর্যাদার উইম্বলডন। করোনার কারণে আপাতত স্থগিত এটিপি আর ডব্লিউটিএ ট্যুরসের টুর্নামেন্ট। ফ্রেঞ্চ ওপেন স্থগিত করা হয়। ২৪ জুনের টুর্নামেন্ট চলে যায় অক্টোবরে। ইউএস ওপেনের নির্ধারিত তারিখ ৩১ আগস্ট। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে এগিয়ে যাবে সেদিক বিবেচনা করেই সামনের দিনগুলোতে সিদ্ধান্ত নিবে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের আগে আর কোন গ্র্যান্ডস্লাম মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন কিংবদন্তি টেনিস তারকা বরিস বেকার। সাবেক টেনিস খেলোয়াড় বরিস বেকার বলেছিলেন, ‘ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেন মাঠে গড়ানোর কোন সম্ভাবনাই দেখছি না আমি। পরিস্থিতির কবে উন্নতি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমার তো মনে হচ্ছে ২০২১ সালের আগে আর বড় কোন আসরই আয়োজন করা সম্ভব হবে না। আর তাহলে আয়োজক ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।’ এই সময় করোনায় খেলা বন্ধ থাকার কিছু সুবিধাও দেখেন বেকার। গেল বছর অস্ত্রোপচার হয়েছে মারেসহ বেশ ক’জন টেনিস তারকার। ইনজুরি আছে সেরেনা, নাদাল ও জোকোভিচের মতো বড় তারকাদের। শেষ কবে এত লম্বা সময় বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন তা বলতে পারবেন না তারকারা। তাই করোনার এই ক্রান্তিকালে দীর্ঘ ছুটি তারকাদের ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলেও মনে করেন বেকার। তবে ইতোমধ্যেই কপাল পুুড়েছে রজার ফেদেরারের। হাঁটুতে আরেকটি অস্ত্রোপচার করিয়ে ২০২০ সালে কোর্টে নামার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ করে দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহেই ফেদেরার জানিয়েছেন, তার ডান হাঁটুতে আরেকটি অস্ত্রোপচার হয়েছে, প্রথমটি হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে জোকোভিচের সঙ্গে খেলতে গিয়ে।
×