ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তবু ফাইনালে জুভেন্টাস

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ১৪ জুন ২০২০

তবু ফাইনালে জুভেন্টাস

জিএম মোস্তফা ॥ অবশেষে মাঠে ফিরেছে ইতালির ফুটবল। করোনাভাইরাসের কারণে ইতালিতে দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় স্থগিত ছিল ফুটবল। শুক্রবার কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনাল ম্যাচটি হয়েছে ফাঁকা স্টেডিয়ামে। জুভেন্টাস-এসি মিলানের শেষ চারের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে অবশ্য গোলশূন্য ড্রয়ে। দারুণ সুযোগ পেলেও পেনাল্টি মিস করে খলনায়কের ভূমিকায় এদিন আবিভূর্ত হন জুভেন্টাসের পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তারপরও ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসের নায়কও এই সিআর সেভেন। কেননা, প্রথম লেগে ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া ম্যাচে তার করা একমাত্র এ্যাওয়ে গোলের সৌজন্যেই যে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করল জুভেন্টাস। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগে দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, করোনাভাইরাস তখনও অপরিচিত ছিল ইতালির জন্য। এরপরের গল্পটা ইতালির জন্য করুণ। আরও পরের গল্পটা ইতালির ঘুরে দাঁড়ানোর। মাঝে পেরিয়ে গেছে পঁচানব্বই দিন। ইতালিতেও ফিরেছে ফুটবল। ফেরার জন্য জুভেন্টাস-মিলানের চেয়ে ভাল ম্যাচ হয়ত আর হতে পারত না। তবে নতুন কিছু হয়নি আর ম্যাচে, ফেব্রুয়ারির ফলটাই ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কোপা ইতালিয়ার টাইয়ে। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো সে ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করে জুভেন্টাসকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন। প্রথম লেগের ৪ মাস পর দ্বিতীয় লেগেও পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ ছিল রোনাল্ডোর। কিন্তু এবার করলেন স্বভাববিরুদ্ধ এক পেনাল্টি মিস। তাতে অবশ্য দিনশেষে ক্ষতি হয়নি জুভেন্টাসের। তুরিনের ফাঁকা মাঠ শুরুতে কতখানি নাটকীয়তা দেখেছে তা অবশ্য ম্যাড়মেড়ে এই স্কোরলাইন দেখে আন্দাজ করার উপায় নেই। তবে খেলার ভাগ্যটা বোধ হয় নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল একেবারে শুরুর দিকেই। মিলানের সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর রোনাল্ডো বল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই বল গিয়ে লাগে আন্দ্রেয়া কন্তির হাতে। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পরে রেফারি নিজেও মাঠের বাইরে গিয়ে দেখেছেন হাইলাইটস। এর পর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন পেনাল্টির। রোনাল্ডোর নেয়া নিচু কিক আর ফাঁকি দিতে পারেনি বারপোস্টকে। তাই আর গোলও পাওয়া হয়নি রোনাল্ডোর। এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো জুভেন্টাসের জার্সিতে পেনাল্টিতে গোল পেলেন না রোনাল্ডো। ২০১৯’র শুরুর দিকে একবার পেনাল্টি মিস করেছিলেন, এর প্রায় দেড় বছর পর সেই বিরল মুহূর্তের স্বাদটাই আরেকবার সঙ্গী হয়েছে পর্তুগীজের। তবে ওই আক্রমণ থেকে দানিলোর বুকে লাথি মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আন্তে রেবিচকে। আর এসব ঘটেছে মাত্র ৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে। ১০ জনের দল নিয়ে রক্ষণে দৃঢ়তা দেখালেও বাকি সময়ে আক্রমণভাগে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি রোসোনেরিরা। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না ইব্রাহিমোভিচ। রেবিচও লাল কার্ড দেখার পর স্ট্রাইকার ছাড়াই বেশিরভাগ সময় খেলেছে মিলানে। জুভেন্টাসের একাদশে ছিলেন পাউলো দিবালা ও ব্লেইস মাতুইদি, দুজনই। দুজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বাজে সময় পেছনে ফেলে আসার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে দুজনের খেলাতেই। মাউরিসিও সারির দলও অবশ্য আক্রমণে খুব বেশি ধারালো ছিল না। ৩ মাসের বেশি সময় পর মাঠে নামা ফুটবলাররাও দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় গা খাটিয়েছেন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ৫ বদলির নতুন নিয়ম কাজে লাগিয়েছে দুদলই। মিলান কোটা পূরণ করলেও জুভেন্টাস বদলি করিয়েছে ৪টি। অবশ্য বিয়াঙ্কোনেরিদের খেলাতেও সমর্থকদের মন ভরার তেমন উপকরণ ছিল না। ১৭ তারিখ থেকে আবার শুরু হবে ‘সিরি এ’ লীগ। ২৩ তারিখ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বোলোনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিটা কেবল ভালভাবেই সারতে পেরেছে জুভেন্টাস। রোমের ফাইনালে জুভেন্টাসের প্রতিপক্ষ কে? সেটা হয়ত ইতোমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। কেননা, শনিবার রাতেই যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেপোলির মুখোমুখি হয় ইন্টারমিলান। এই ম্যাচ জয়ী দলের বিপক্ষেই ফাইনালে মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। ম্যাচ শেষে কথা বলেছেন জুভেন্টাসের কোচ মাউরিসিও সারি। তবে রোনাল্ডোর পেনাল্টি মিসে মোটেও বিচলিত নন তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন, রোনাল্ডো পেনাল্টি মিসে অভ?্যস্ত নয়। সময়ের অন
×