ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে জালিয়াতির অভিযোগে আইনজীবী সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০০:১১, ১৩ জুন ২০২০

যশোরে জালিয়াতির অভিযোগে আইনজীবী সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিচারকের হাতে ধরা পড়ার ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সৈয়দ কবীর হোসেন জনিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার সমিতির নির্বাহী কমিটির জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া আদালত থেকে মুক্তির পর সমিতি ভবনে আসা এক আসামিকে অবরুদ্ধ করে টাকা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে তাকে শোকজও করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী। এর আগে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন অভিযুক্ত জনির বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দেন। তিনি দশ দিনের মধ্যে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তা আদালতকে জানানোর জন্যও নির্দেশ দেন জেলা আইনজীবী সমিতিকে। জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত কোতোয়ালি থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে থানা নিয়মিত মামলা রুজু করে। এ মামলায় তিন আসামিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আসামিরা হলেন, ফয়েজ ইসলাম ইভান, মুক্তা ইসলাম ও উম্মে আসমা তন্দ্রা। এরপর জনি বাদী পক্ষের আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও ভোল পাল্টে আসামি পক্ষে কাজ শুরু করেন; যা আইনজীবী হিসেবে তিনি করতে পারেন না। গত ৩ জুন ভার্চুয়াল কোর্টে ওই তিন আসামির জামিন শুনানি হয়। আইনজীবী জনি আসামিদের মুক্তির জন্য ‘বাদী ও আসামি পক্ষের সঙ্গে মীমাংসা হয়েছে’ মর্মে একটি জাল এফিডেভিট আদালতে উপস্থাপন করেন। এফিডেভিটে মামলার এজাহারকারী হিসেবে ইয়াসিন আরাফাত নামে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত প্রমাণ পান, ওই মামলার বাদী ইয়াসিন নন, উম্মে সালমা শিখা। শুধু তা-ই নয়, আদালতের আদেশ অমান্য করে ভার্চুয়াল আদালত না মেনে নিজে ও একজন ভুয়া বাদী এনে বিচারকের খাস কামরায় এসে মামলা নিষ্পত্তির জন্য পীড়াপীড়ি করেন। এই পর্যায়ে বিচারক তার জালিয়াতি ধরে ফেলে জেলা আইনজীবী সমিতিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। অন্যদিকে, মামলাটির আসামি উম্মে আসমা তন্দ্রা জামিনে বেরিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতিতে পৃথক একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তাদের তিনজনকে ‘আত্মসমর্পণ করিয়ে জামিনে বের করে দেবেন’ মর্মে সাত হাজার টাকা দাবি করেন আইনজীবী জনি। কিন্তু তারা প্রতারণার শিকার হন। পরে আইনজীবী জনি ওই নারীর কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। এরমধ্যে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়েও নেন। বাকি ১৫ হাজার টাকার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে জীবননাশের হুমকি দিতে থাকেন জনি। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমিতির পক্ষ থেকে ৭ জুন আইনজীবী জনিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। কিন্তু সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে শুক্রবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বাগেরহাটে আইনজীবী গ্রেফতার স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া তারিককে (৪৬) পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি বাগেরহাট জেলা আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সদস্য। পুলিশ জানায়, গোলাম কিবরিয়া তারিখের নিজের ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশালীন স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে বারইখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ফরাজি মামলাটি দায়ের করেন।
×