ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করল ১০ নরপশু

প্রকাশিত: ০০:১০, ১৩ জুন ২০২০

নোয়াখালীতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করল ১০ নরপশু

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১২ জুন ॥ নোয়াখালীর সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (২০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দশজনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামি ফারুক (২৭) ও ফাহিম (১৯) নামে দুই ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার দুপুরে সেনবাগ থানা পুলিশ তাদের নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। জানা যায়, গত ৬ জুন সকালে ভিকটিম উত্তর মানিকপুর থেকে হাটিরপাড়ে নিজ বাড়ি যাবার পথে শাওন, একরাম, সোহেল ও ফারুক নামের বখাটেরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক চোখ মুখ বেঁধে আলী হোসেন হুক্কার অটোতে তুলে নেয়। এরপর আসামি ফারুকদের বাঁশঝাড় ঘেরা কবরস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে বিকৃতমানসিকতার বখাটেরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একের পর এক ১০ নরপশু জোর করে অসহায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দুপুরে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। দীর্ঘ সময়পর তার জ্ঞান ফিরলে সে কবরস্থান থেকে বিপর্যস্ত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী সড়কে এসে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তার অবস্থা দেখে তাকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন। পিতৃহীন মেয়েটির শারীরিক অসুস্থতা ও নরপশুদের পাশবিক অত্যাচারের বিষয়টির বর্ণনা শুনে মা মূর্চ্ছা যান। পরে সহায়সম্বলহীন হতদরিদ্র বিধবা গ্রাম্য চিকিৎসকের সহায়তায় মেয়েটির প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পাশবিকতার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বখাটেরা অব্যাহত হুমকিতে রাখেন পরিবারটিকে। ভিকটিমের মা জানান, ঘটনার দিন বাসাবাড়িতে কাজের সন্ধানে গিয়ে মেয়েটি পার্শ্ববর্তী উত্তর মানিকপুর থেকে বাড়ি আসার পথে ১০ নরপশু দীর্ঘ তিনঘণ্টা দানবীয় তান্ডব চালিয়ে মোবাইলফোনে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। উত্তর মানিকপুরের গফুরের বখাটে পুত্র শাওন (২৬), মসজিদ ওয়ালা বাড়ির গফুরের পুত্র আকরাম (২৫), হাজী বাড়ির আবু তাহের হাবিলদারের ছেলে ফারুক (২৭), ভুট্টুর ছেলে সোহেল (২৬), টোকন আলীর পুত্র আলী হোসেন প্রকাশ হুক্কা (২৭), ভাসানীর পুত্র মাহফুজ (২১), হারুনের পুত্র রিয়াদ (২৮), সৈয়দ আহাম্মদের পুত্র খলিল (২৫), মোস্তফার পুত্র ইয়াকুব (২৪), জলিলের পুত্র ফাহিম (১৯) ঘটনার মূল নায়ক। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ধর্ষণে জড়িত অপরাধীদের প্রতিজন থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ৫ লাখ টাকা নিয়ে চক্রটি আলোচিত ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে তৎপর ছিল। সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের কয়েকটিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
×