ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নদী পুনর্খননে দুই সড়কে ভাঙ্গন ॥ ৭ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০০:০৯, ১৩ জুন ২০২০

নদী পুনর্খননে দুই সড়কে ভাঙ্গন ॥ ৭ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাটাখাল পুনর্খনন কাজ করতে গিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে দুটি পাকা সড়ক। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাঐতারা গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া কাটাখাল নদী পুনর্খনন করতে গিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এই দুটি পাকা সড়ক। কোন সেতু ছাড়াই কাটাখালের উপরে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে মূল সড়ক থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার সাত গ্রামের মানুষ। ভাঙ্গা সড়ক দুটির যোগাযোগের জন্য দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাঐতারায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘৩৬ জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন’ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জে কাটাখাল নদী পুনর্খনন করা হচ্ছে। অবৈধ দখলে ভরাট হয়ে যাওয়া এ নদীর বাঐতারা অংশের ওপর দিয়ে দুটি পাকা সড়ক নির্মাণ করে এলজিইডি। সম্প্রতি কাটাখাল পুনর্খনন প্রকল্পের আওতায় ওই পাকা সড়ক দুটি কেটে ফেলা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের কাশিয়াহাটা বাজার থেকে একটি ও বাঐতারা এলাকা থেকে আরও একটি পাকা রাস্তা নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এ দুটি পাকা রাস্তা সিরাজগঞ্জ-মুলিবাড়ী মহাসড়কে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। দুটি সড়কই কাটাখাল নদীর উপর দিয়ে চলে গেলেও নির্মাণ করা হয়নি সেতু। কাটাখাল পুনর্খননের কারণে এর ওপর সব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়। নদীর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে ওই সড়ক দুটিও কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে বাঐতারা, কাশিয়াহাটা, চাকলী, মোহনপুর, কাদাই ও ছাতিয়ানতলীসহ সাত/আট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। তাঁত ব্যবসায়ী শামছুল হক, শ্রমিক আলহাজ আলী, ক্যাবল ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল ও বাঐতারা বাজারের মুদি দোকানি জাফর আলীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি এ সড়ক দুটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। এতে এলাকার সাত/আট গ্রামের মানুষকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কাটাখাল নদীটির অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে ছিল। পুনর্খনন প্রকল্পের আওতায় মরে যাওয়া এ নদীটি জীবন্ত করতে সব অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাউবোর সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, কাটাখালের ওপর আড়াআড়িভাবে ১৫টি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যার অধিকাংশতেই কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। আমরা পুনর্খনন করার পর নদী তার গতিতেই প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবল স্রোতে রাস্তা দুটি ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে আমাদের কোন ঠিকাদার রাস্তা দুটি ভেঙ্গে ফেলেননি। সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ বদরুদ্দোজা বলেন, বাঐতারার ওই দুটি সড়কের ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে এখনও প্রকল্প দুটির অনুমোদন হয়নি। প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ করা হবে।
×