ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১২ জুন ২০২০

ঝলক

বিচ্ছিন্ন ছিল বহু বছর রোমানিয়ার মোভাইল গুহা পৃথিবীর মধ্যে যেন আরও একটি পৃথিবী। বাইরের কোন নিয়ম সেখানে প্রযোজ্য নয়। সেখানকার প্রাণীরা সাড়ে পঞ্চাশ লাখ বছর ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল বাইরের জগৎ থেকে। এ রকমই এক বিচিত্র ও বিস্ময়ের আকর কনস্টান্টা কাউন্টির ম্যাঙ্গালিয়া অঞ্চলের ওই গুহাটি। বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান লাস্কু ১৯৮৬ সালে রোমানিয়া-বুলগেরিয়া সীমান্তে কৃষ্ণসাগরের উপকূল থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরের প্রাকৃতিক বিস্ময় আবিষ্কার করেন। অদ্ভুত বাস্তুতন্ত্রের সাক্ষী গুহায় প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন সালফাইড ও কার্বন ডাই অক্সাইড আছে। বদ্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অক্সিজেন কম। ফলে বিষাক্ত পরিবেশে ফোটোসিন্থেসিসের (সালোকসংশ্লেষণ) বদলে জীবন এগিয়েছে কেমোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ফোটোসিন্থেসিসের বিপরীত প্রক্রিয়া হল কেমোসিন্থেসিস। ফোটোসিন্থেসিসে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশে মুক্ত হয় অক্সিজেন। কিন্তু কেমোসিন্থেসিসে হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড ও সামান্য অক্সিজেন অথবা নাইট্রেটের বিক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে সালফার উৎপন্ন হয়। অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতেও প্রক্রিয়া হতে পারে। মহাসাগরের গভীরে, অন্ধকার গুহাসহ পৃথিবীর বহু অংশে কেমোসিন্থেসিস প্রক্রিয়ায় বাস্তুতন্ত্র আবর্তিত হয়। সেভাবেই হয়েছে মোভাইল গুহাতেও। প্রকৃতির নিয়মে গুহায় বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বাকি অংশের তুলনায় আলাদা। সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় অনুপাতের ২১ শতাংশ অক্সিজেন। তবে মোভাইল গুহায় অক্সিজেনের উপস্থিতি মাত্র ৭-১০ শতাংশ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ যেখানে ০.০৪ শতাংশ সেখানে মোভাইল গুহায় কার্বন ডাই অক্সাইড আছে ২ থেকে ৩.৫ শতাংশ। মিথেনের পরিমাণ ১ থেকে ২ শতাংশ। গুহার বাতাস ও জলে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন সালফাইড ও এ্যামোনিয়া আছে। গুহায় ৪৮ প্রজাতির প্রাণী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ প্রজাতির বাইরের পৃথিবীতে অস্তিত্বই নেই। সূর্যালোক না পাওয়ায় প্রাণীরা অনেকে জন্মান্ধ। দীর্ঘদিন অন্ধকারে চোখের ব্যবহার না থাকায় জিনগত বিবর্তনের ফলে সদ্যোজাতদের শরীরে চোখের গঠন হয়নি। এমনকি সূর্যের অনুপস্থিতিতে পিগমেন্টেশনের জেরে তাদের গায়ের রংও স্বাভাবিক নয়। -বিবিসি আর্থ কবিতায় গুপ্তধনের সঙ্কেত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সান্তা ফে শহরের রকি পাহাড়ের জঙ্গলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মূল্যবান রত্ন, সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসে ঠাসা বাক্স। গুপ্তধনের সন্ধান পেয়ে এক ব্যক্তি সেটি উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন অশীতিপর লেখক এবং শিল্প সংগ্রাহক ফরেস্ট ফেনকে। ফরেস্ট ফেন একটি বই লিখেছিলেন। সেখানেই বলা ছিল গুপ্তধনের কথা। সঙ্গে দেয়া হয়েছিল সঙ্কেত। মুখে মুখে তার সম্পদের নাম হয়ে গিয়েছিল ‘দ্য ফেন ট্রেজার’। রকি পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে ওই সম্পদ নিজেই লুকিয়ে রেখেছিলেন ফেন। প্রায় ১০ বছর আগে লুকিয়ে রাখা সম্পদ এত দিনে উদ্ধার হলো। যদিও গুপ্তধন উদ্ধারকারীর নাম বা পরিচয় ফেন জানেন না। নিজের ওয়েবসাইটে তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারের পরে তাকে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। ছবি দেখে তিনি নিশ্চিত ওই সম্পদ তারই লুকিয়ে রাখা। তার বইয়ে একটি কবিতার মাধ্যমে বলা ছিল কোথায় আছে গুপ্তধন। ফেন জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে সেই একই জায়গায় ছিল সম্পদভর্তি বাক্স। তারাভরা আকাশের নিচে ঘন জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে তার সন্ধান পাওয়া গেছে। সঙ্কেতের রহস্য এখনও স্পষ্ট নয়। সেটি লুকিয়ে রয়েছে সেই ২৪ লাইনের কবিতার মধ্যেই। যা রয়েছে ২০১০-এ প্রকাশিত তার আত্মজীবনী ‘দ্য থ্রিল অব চেজ’-এ। ওই বাক্সে ছিল কয়েক শ’ দুষ্প্রাপ্য স্বর্ণমুদ্রা, চুনী আর পান্না বসানো জেড পাথরের গয়না। আরও মূল্যবান জিনিস। ৯ কেজি ওজনের বাক্সে রাখা ছিল ১০ কেজি ওজনের গুপ্তধন। -এবিসি নিউজ
×