ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ১২ জুন ২০২০

উবাচ

মেননের চোর পালানো- স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর গণপরিবহন চালু হওয়ার পর দেশে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ছে। পরামর্শকরা বলছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। গোটা শহরকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। এরপর ঢাকার একটি অংশ লকডাউন করা হয়েছে। যেখানে মাত্র ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তোড়জোড় দেখে মনে হচ্ছে কেবলমাত্র ৩৫ হাজার বাসিন্দার এই এলাকাকে লকডাউন করলেই ঢাকা করোনা মুক্ত হবে। এই পরিস্থিতিকে চোর পালানোর পর বুদ্ধি বাড়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, সব খুলে দিয়ে জোন ভাগ করা চোর পালানোর পর বুদ্ধি বাড়ার শামিল। রাশেদ খান মেনন বলেন, এরপরও যদি তাড়াতাড়ি সম্ভব জোন ভাগ হতো তা হলেও কথা ছিল না। কিন্তু তারও দেখা নেই। মনে হয় আমরা ‘হার্ড কমিউনিটি’র পথ নিয়েছি। সেটা বললেও বোঝা যেত। করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী করছে তা বোঝাই যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কিছু একটা করা দরকার.... স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার সংক্রমণ কতটা বৃদ্ধি পেলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কঠিন কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেটি বলা মুশকিল। প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় দেশের অবস্থান ১৯তম স্থানে উঠে এসেছে। প্রতিদিনই মৃত্যুর তালিকায় নতুন নতুন নাম যোগ হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে একটা কিছু ব্যবস্থা নেয়া দরকার। মানুষের চলাচলের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণও বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি দেখি, আক্রান্তদের ৮০ ভাগ হল- ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের। ভূখন্ড বিবেচনা করলে কিন্তু ৫০ পার্সেন্ট আক্রান্ত হয় নাই। আমরা দেখছি, গার্মেন্ট বা ঈদযাত্রায় মুভমেন্ট বাড়লে আক্রান্ত বেড়ে যাচ্ছে। মুভমেন্ট কমায় দিলে আক্রান্ত কমে যাচ্ছে। জাহিদ মালেক বলেন, একটা কিছু ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আমাদের পরামর্শক কমিটি রয়েছে, আমাদের জাতীয় কমিটিতেও বেশ কিছু মন্ত্রণালয় রয়েছে। তাদের সবার প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ করলে ভাল হবে মনে করি। চাষাবাদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে করোনার ‘চাষাবাদ’ বলে মনে করছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমদ। সাবেক এই বিএনপি নেতা বলছেন সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে ভুল ছিল। ভুল থাকার কারণেই দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে সরকার কারও পরামর্শও গ্রহণ করছে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। অলি আহমদ বলেন, সরকার একাধিকবার ছুটি ঘোষণা ও ছুটি বাতিল করার ফলে জনগণ সমগ্র দেশে একাধিকবার বিনা বাধায় ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে। শ্রমিকরা একাধিকবার নিজ নিজ গ্রামে আসা-যাওয়া করেছে পক্ষান্তরে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সমগ্র দেশে করোনাভাইরাস চাষাবাদ হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি জরুরী অবস্থা অথবা কার্ফু জারি করা হতো তাহলে করোনাভাইরাস কখনও বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছাতো না। এখনও সময় আছে কঠোরভাবে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কার্ফু দিয়ে করোনা বিস্তার রোধে করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
×