স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের উর্ধমুখী ধারা অব্যাহত থাকে বৃহস্পতিবারও। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জনের মৃত্যু এবং ৩১৮৭ জন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৪৯ জনে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ হাজার ৫২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৮৪৮ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৬ হাজার ৭৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭৭২টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩২টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী সাত জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ৯ জন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিবেচনায়, মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন, রাজশাহী বিভাগে চার জন, সিলেট বিভাগে তিন জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৭১ জনকে। আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৫৫ জন। এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬৩৭ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়। আর আইসোলেশন থেকে মোট ছাড়া পেয়েছেন চার হাজার ৮৩৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন আট হাজার ৭৬৪ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিন হাজার ১৬১ জন, ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৮৭৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টাইন করা হয় তিন লাখ ১২ হাজার ৩৪৪ জনকে। বর্তমানে ৫৮ হাজার ৯৯৯ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: