ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য খাতে ২৯ হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: ২২:৫১, ১২ জুন ২০২০

স্বাস্থ্য খাতে ২৯ হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৯ হাজার ২শ’ ৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য মোট ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রমসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতের জন্য এ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সংক্রান্ত কার্যক্রম ১৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ বাস্তবায়ন করছে। আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ৪১ হাজার ২৭ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা জিডিপির ১.৩ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ৭.২ শতাংশ। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন করে আরও এক হাজার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে। আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে সেবার পরিধি বৃদ্ধি করছি। ১০টি জেলা কার্যালয় ও স্টোরসহ ১৪৫টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ১৩ হাজার ৮১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন ১০ শয্যাবিশিষ্ট ৭০টি এমসিডব্লিউসি নির্মাণ ও আরও ২৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ (পুনর্নির্মাণসহ), পুরাতন দুই হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক আধুনিকায়ন এবং নতুন এক হাজার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ অনুমোদিত হয়েছে এবং একটি ট্রাস্টি গঠিত হয়েছে। ৬৫টি উপজেলা হাসপাতাল এবং ২৭টি জেলা হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এর আওতা আরও বৃদ্ধি করা হবে। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ইতোমধ্যে মোট দুই হাজার ৮৫৪টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নিরাপদ প্রসবসেবা এবং ৭২টি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে জরুরী প্রসূতিসেবা চালু করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র (৪০টি), ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র (২৫টি), তিনটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুমিল্লায় একটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে মেডিটেশন সেবায় সরকার আগেই মূসক অব্যাহতি দিয়েছে। এবারের বাজেটে সেটা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই), সার্জিক্যাল মাস্ক ও ফেস মাস্ক উৎপাদন এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড ১৯ নিরোধক ওষুধের ক্ষেত্রেও উল্লেখিত তিন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় এসব সামগ্রীর দাম কমবে।
×