ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারদের প্রশংসায় ভেট্টরি

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ১১ জুন ২০২০

বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারদের প্রশংসায় ভেট্টরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘বাংলাদেশের স্পিনাররা খুবই ভালমানের। বাংলাদেশ দলে বাঁহাতি স্পিনারের বিশাল একটা ঐতিহ্য আছে। তাদের নিয়ে আমার অনেক বড় আশা। খুবই প্রতিভাবান একটা স্পিন গ্রুপ।’ বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি। স্পিনারদের নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার ইচ্ছা সবসময়ই ছিল ভেট্টরির। তিনি যে একজন স্পিন অলরাউন্ডার ছিলেন। যখনই বাংলাদেশে এই সুযোগটি মিলল, বাংলাদেশের ভালমানের এবং প্রতিভাবান একটা স্পিন গ্রুপের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়ে গেলেন। বছরে ১০০ দিনের চুক্তিতে কাজও শুরু করে দিলেন। নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি এ অলরাউন্ডার খেলোয়াড়ী জীবন শেষে কোচিং পেশাকেই বেছে নিয়েছেন। ইনডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশের দল ব্রিসবেন হিটের মতো বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের প্রধান কোচ তিনি। দুটি দলের এত কঠিন দায়িত্বের পরও কেন বাংলাদেশ দলের স্পিনারদের কোচিং করানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন? ভোট্টরি ঘটনার বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এই চাকরিটা মূলত নিয়েছি কারণ আমি চাইছিলাম আলাদাভাবে স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করতে। আমি আগে কাজ করেছি পুরো একটি দল নিয়ে। প্রায়ই মনে হতো স্পিনারদের হয়তো অবহেলা করছি। কিন্তু আমি তো তাদের নিয়েই কাজ করতে চাই। সেই সঙ্গে আমি এটাও ভেবেছি, বাংলাদেশে যেসব স্পিনার দেখেছি তারা খুব ভালমানের।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তাইজুল...নাঈমকে কিছুটা দেখেছি। আমি আসলেই এখানে দারুণ কয়েকজন স্কিলফুল স্পিনার দেখেছিলাম। তারপর টিম ম্যানেজমেন্টের বাকিদের সঙ্গে কথা বললাম... রাসেল ডোমিঙ্গো বিপ্লবের মতো রিস্ট স্পিনারদের উঠে আসার কথা বলছিলেন। তিনি এই স্পিনিং গ্রুপটা নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত।’ ভেট্টরি আরও জানান, ‘বাংলাদেশ দলে বাঁহাতি স্পিনারের বিশাল একটা ঐতিহ্য আছে। বিশেষ করে এখানকার স্পিনাররা খুব ভাল করে। তাই তাদের নিয়ে আমার অনেক বড় আশা। আমি মনে করি খুবই প্রতিভাবান একটা স্পিন গ্রুপ। যখন ক্রিকেট মাঠে ফিরবে তখনই কেবল আমরা তাদের উন্নতিটা দেখতে পাব।’ স্পিনার তাইজুল ইসলামকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথাও জানান ভেট্টরি। ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ভেট্টরি বলেন, ‘উপমহাদেশে বল স্পিন বেশি করে। এরপর ড্রিফট করতে পারাটা আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উপমহাদেশের সেরা স্পিনাররা বলে ড্রিফট করতে পারে। তারা বল স্পিনও দারুণভাবে করাতে পারে। এটা কিছুটা উইকেটের কারণে, কিছুটা তাদের সাইড-স্পিনের জন্য। সাইড-স্পিন বিষয়টি এমন যে এটা আপনি ছোট থেকে শিখতে পারবেন না, এটা পরবর্তীতে অর্জন করে নিতে হয়। আমি মনে করি তাইজুলের জন্যও বিষয়টি তেমন। সে টপ-স্পিন করতে পারবে, এ নিয়ে আমরা অনেক বলেছি। সে সাইড স্পিনের ওপরে অনেক ভরসা করে। আগেও সে এমন করেছে। আমরা এখন কাজ করছি যাতে করে তাকে টপ স্পিনে পারদর্শী করা যায়।’ বিদেশের মাটিতে পেসবান্ধব বা ফ্ল্যাট উইকেটে সাফল্য পেতে হলে টপ-স্পিনে পারদর্শী হতে হয় স্পিনারদের। এ কারণেই তাইজুলকে টপ-স্পিন শেখাবেন ভেট্টরি। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো বিশ্বের অনেক জায়গায় উইকেট স্পিনিং হয় না। সেখানে বল ড্রিফট করতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেইসব উইকেটে টপ-স্পিনে বল করা জরুরী।
×