ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৮ অক্টোবর সিলেটে আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ১০ জুন ২০২০

৮ অক্টোবর সিলেটে আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এলে বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও শুরু হবে ২০২২ ফিফা (কাতারে অনুষ্ঠিতব্য) বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। ইতোমধ্যেই বিশ^ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বিশ^কাপ বাছাইপর্বের সূচী ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশের করোনা-পরবর্তী প্রথম ম্যাচ আগামী ৮ অক্টোবর। সেদিন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম লেগে আফগানদের কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল লাল-সবুজরা। যদিও সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, তাজিকিস্তানের দুশানবেতে (আফগানিস্তানের যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতির কারণে)। করোনার কারণে বিশ^কাপ বাছাইয়ের খেলা বন্ধ হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত যে সূচী ছিল, তা অনুযায়ী গত মার্চে আফগানদের বিরুদ্ধেই হোম ম্যাচে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের, গত মার্চে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ফেডারেশনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভা করে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। উদ্দেশ্য ছিল প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বাছাই আবারও শুরু করা যায় কি না। সেসময় শুধু আগামী অক্টোবর ও নবেম্বর মিলিয়ে চারটি ম্যাচ ডের কথা জানিয়েছিল তারা। এবারও পূর্ণাঙ্গ সূচী দেয়নি এএফসি। তবে তাদের ওয়েবসাইটে আগামী চারটি ম্যাচ ডেতে বাংলাদেশের চার প্রতিপক্ষের নাম জানিয়েছে। ম্যাচ শুরুর সময় নেই সূচীতে। বাংলাদেশের এর পরের ম্যাচ ১৩ অক্টোবর দোহায়। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক কাতার। বাংলাদেশ শেষ দুটি ম্যাচ ১২ নবেম্বর ঢাকায় ভারতের ও ১৭ নবেম্বর ঢাকায় ওমানের বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তিন হার ও এক ড্রয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে রয়েছে জেমি ডের দল। বাংলাদেশের গ্রুপে চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্র নিয়ে সবার ওপরে আছে কাতার। গত নবেম্বরে সব শেষ ওমানের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। মাসকাটে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ৪-১ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজরা। কলকাতায় এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকায় কাতারের কাছে হেরেছিল ২-০ গোলে। বিশ্বকাপ আর এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের কিছু পাওয়ার নেই। এখন খেলাগুলো শেষ করাই তাদের কাজ। তাছাড়া এ মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হেড কোচ জেমি ডেও নেই। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে নতুন মেয়াদে চাকরি শুরু হবে জেমির। যেহেতু আগামী তিন মাস জাতীয় দলের কোন খেলা নেই। তাই বাফুফে তাকে বসিয়ে রেখে বেতন দিতে নারাজ। তাই মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই তিন মাস জেমি আর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে গণ্য হবেন না। সেই অনুযায়ী গত ১৫ মে জেমির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে বিশ^কাপ বাছাই উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের একটি ‘ভুয়া প্রাথমিক স্কোয়াড’ ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। আর সেটা দেখে বেজায় ক্ষেপে গেছেন বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। বলা হয়েছে কোচ জেমিই নাকি প্রাথমিক ক্যাম্পের জন্য এই তালিকা বাফুফেকে দিয়েছেন! বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের কোচ নিকোলাস ভিটরোভিচ তো তার ক্লাবের দুই ফুটবলার ডাক পাওয়ায় ফেসবুকে উচ্ছ্বাস প্রকাশও করেছেন! এ তালিকা দেখে বেজায় চটে গিয়ে জেমি বলেছেন, ‘এ কাজটি কে করেছে? আমি এটা দেখে বিস্মিত। ৩৫ জনের কাল্পনিক তালিকা যেই তৈরি করুক, সেখানে অনেকের পছন্দের ফুটবলার নেই। তাই তো সমালোচনা হচ্ছে- অমুককে ডাকা হয়নি! এটা বিস্ময়কর। আবার কেউ বলছেন অমুককে নেয়া হয়েছে, খুব ভালো সিদ্ধান্ত।’ জেমি আরও বলেন, ‘যখন কোন খেলাই নেই, তখন কে বা কারা এ তালিকা বানিয়েছে। এটা ঠিক না, বাজে কাজ। এর মাধ্যমে ফুটবলাররা বিভ্রান্ত হন। বেশ ক’জন ফুটবলার আমার কাছে জানতে চেয়েছেন তারা কেন স্কোয়াডে নেই। কি হাস্যকর! সত্যিই আমি বিস্মিত। এটা খুবই একটা বাজে উদাহরণ হয়ে থাকল। এটা আমার দেয়া দল না।’
×