বিশেষ প্রতিনিধি ॥ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চললে সংক্রমণ আরও কম হতো বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে, তবে সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চললে এত সংক্রমণ হতো না। এ দুর্যোগ ও সঙ্কটকালে মানুষ যাতে খাদ্য-চিকিৎসায় কষ্ট না পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষণিক মনিটরিং ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিশ্বের মানুষের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই ভাইরাস থেকে কিভাবে মানুষ মুক্তি পাবে। উন্নত বিশ্বের মতো আমরাও বড় একটি দুর্যোগের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছি। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সরকার অনেক পদক্ষেপ শুরু থেকেই নিয়েছে।
ভার্চুয়াল এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর। আলোচনা অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে ইন্টারনেটে সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর বলেন, অনলাইনে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত হবে। আমরা প্রথমে বিভাগভিত্তিক করব। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু করব।
অনুষ্ঠানে মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসায় যেন কোন ঘাটতি না থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমুহূর্ত মনিটরিং করছেন। শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন যাতে এ দুর্যোগকে মোকাবেলা করতে পারি। মানুষ যাতে খাদ্য ও চিকিৎসায় কষ্ট না পান সেজন্য সর্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি জীবন ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গার্মেন্টস শিল্প খুলে দেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতির একটি মূল স্তম্ভ হচ্ছে এই পোশাক শিল্প। খাতটি বিশেষ করে আমাদের যারা প্রতিযোগী যেমন ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা এসব দেশ যখন তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে তখন আমরা যদি আমাদের কারখানা বন্ধ রাখি তাহলে আমাদের বিশাল বাজারটা আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলব। এখনই যদি আমরা কাজ শুরু না করি তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এই কথা চিন্তা করেই গার্মেন্টস শিল্প খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিলে সংক্রমণ বৃদ্ধির সুযোগ নেই জানিয়ে হানিফ আরও বলেন, আমরা যদি সেইফটিকে (সুরক্ষা) অগ্রাধিকার দেই তাহলে সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ নেই। মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার এবং নাকে-মুখে যতটা সম্ভব হাত না দেই, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব যদি রাখতে পারি তাহলে আমরা করোনার এই ট্রান্সমিশন বন্ধ রাখতে পারব। তাই শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেয়ার পর সকল সেক্টরে এগিয়ে গেছি। এ দুর্যোগও মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সফল হবেন ইনশাল্লাহ।
