ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বিভাগে রোগী বেশি

এলাকাভিত্তিক লকডাউন শুরু হচ্ছে

প্রকাশিত: ২২:১৩, ৯ জুন ২০২০

এলাকাভিত্তিক লকডাউন শুরু হচ্ছে

নিখিল মানখিন ॥ এলাকাভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এলাকাভিত্তিক শনাক্তকৃত করোনা রোগীর সংখ্যার বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। দেশে শনাক্তকৃত করোনা রোগীর সংখ্যার বিবেচেনায় বিভাগগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। দেশের মোট শনাক্তের ৬৯ শতাংশ করোনা রোগী রয়েছে এই বিভাগে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগ। জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা (২৯৯৮ জন)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নারায়ণগঞ্জ (২৫৯৮ জন) ও ঢাকা (১৪৫৮ জন) জেলা। আর ঢাকা সিটিতে রোগী সংখ্যার দিক দিয়ে ১১২৪ জন নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে মিরপুর এলাকা (পুরো মিরপুর)। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মহাখালী (৪৭১ জন) ও উত্তরা ( ৪৫৬ জন) এলাকা। এছাড়া ঢাকা সিটির মুগদা ও মোহাম্মদপুরে চার শ’র বেশি, যাত্রাবাড়ী, কাকরাইল ও ধানমন্ডিতে তিন শ’র বেশি এবং মগবাজার, তেজগাঁও, খিলগাঁও, রাজারবাগ, লালবাগ,রামপুরা ও বাড্ডায় দুই শ’এর বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এলাকাভিত্তিক (জোন) লকডাউন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী সরকার রেড, ইয়েলো ও গ্রীন-এই তিনটি জোনে চিহ্নিত করবে। বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্তমুক্ত এলাকাকে গ্রীন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রীন জোনেও। তাই এলাকাভিত্তিক করোনা শনাক্তের সংখ্যার গুরুত্বতা সামনে চলে এসেছে। বিভাগভিক্তিক করোনা রোগী- আইইডিসিআর ॥ আইইডিসিআর জানায়, ঢাকা বিভাগের ঢাকা সিটিতে মোট করোনা রোগী ২০ হাজার ২৫৯ এবং অন্যান্য জেলায় রয়েছে মোট ৮ হাজার ১৪। এই বিভাগে দেশের মোট আক্রান্তের ৬৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এভাবে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৯৯৮ (১৭ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ১১৮৪ (২ দশমিক ৮৮ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ১১৩৬ (২ দশমিক ৭৬ শতাংশ), খুলনা বিভাগে ৮১৪ (১ দশমিক ৯৮ শতাংশ), ময়মনসিংহ বিভাগে ১২৫৫ (৩ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ৪৯৮ (১ দশমিক ২১ শতাংশ) এবং রাজশাহী বিভাগে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০০২ জন (২ দশমিক ৪৩ শতাংশ)। জেলাভিত্তিক করোনা রোগী -আইইডিসিআর ॥ আইইডিসিআর জানায়, ঢাকা বিভাগের ঢাকা সিটিতে ২০ হাজার ২৫৯, ঢাকা জেলায় ১৪৫৮, গাজীপুরে ১১৬৫, কিশোরগঞ্জে ৩১৪, মাদারীপুরে ২০৩, মানিকগঞ্জে ১৬৭, নারায়ণগঞ্জে ২৫৯৮, মুন্সীগঞ্জে ৯৮৫, রাজবাড়ীতে ৯০, ফরিদপুরে ৩৪৮, টাঙ্গাইলে ৫৫, শরীয়তপুরে ১৫৩ ও গোপালগঞ্জে ২৮৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ২৯৯৮, কক্সবাজারে ৯৬৯, কুমিল্লায় ১১৯৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮৬, খাগড়াছড়িতে ৪৭, লক্ষ্মীপুরে ১৪৪, বান্দরবানে ৪১, রাঙ্গামাটিতে ৬৮, নোয়াখালীতে ৮৩৮, ফেনীতে ২৫৭ ও চাঁদপুরে ২৫৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ৬৭৬, মৌলভীবাজারে ১১৬, সুনামগঞ্জে ২১৭ ও হবিগঞ্জে ১৭৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় ৫১১, গাইবান্ধায় ৬৩, নীলফামারীতে ১৩৮, লালমনিরহাটে ৪২, কুড়িগ্রামে ৭৪, দিনাজপুরে ১৮২, পঞ্চগড়ে ৫২ ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৭৪ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় ১৫৯, যশোরে ১৬৫, বাগেরহাটে ৪৬, নড়াইলে ৩৪, মাগুরায় ৩৭, মেহেরপুরে ৩০, সাতক্ষীরায় ৪৯, ঝিনাইদহে ৫৭, কুষ্টিয়ায় ১২৬ ও চুয়াডাঙ্গায় ১১১ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় ৫৭১ জন, জামালপুরে ২৯৪ জন, নেত্রকোনায় ২৬৯ জন ও শেরপুরে ১২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলায় ১৮২, বরগুনায় ৮১, ভোলায় ৬৯, পটুয়াখালীতে ৮৯, পিরোজপুরে ৩৮ ও ঝালকাঠিতে ৩৯ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের রাজশাহীতে ৮১, জয়পুরহাটে ১৮৩, পাবনায় ৮৪, চুয়াডাঙ্গায় ৬৪, বগুড়ায় ২৬৯, নাটোরে ৬৭, নওগাঁয় ২১২ ও সিরাজগঞ্জে ৪২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা সিটিতে মিরপুরে সর্বোচ্চ করোনা রোগী মিরপুরে (১১২৪ জন) -আইইডিসিআর ॥ আইইডিসিআর জানায়, মহাখালীতে ৪৭১, উত্তরায় ৪৫৬, মুগদায় ৪৩৪, মোহাম্মদপুরে ৪২৫, যাত্রাবাড়ীতে ৩৯৪, কাকরাইলে ৩০০, ধানমন্ডি ৩১৭, মগবাজার ২৬৩, তেজগাঁও ২৬৭, খিলগাঁওয়ে ২৩৪, রাজারবাগে ২২২, লালবাগে ২২৪, রামপুরায় ২২০, বাড্ডা ২০৬, মালিবাগে ১৭১, গুলশান ১৭১, বাবুবাজারে ১৬২, গেন্ডারিয়া ১৪৯, ওয়ারীতে ১২৮, বাসাবোতে ১৩০, বংশালে ১১৩, আগারগাঁওয়ে ১১২, শ্যামলীতে ১০৭, হাজারীবাগে ১০১, আজিমপুরে ৯৬, শাহবাগে ৯৬, বনানীতে ৯৫, শেরে বাংলা নগরে ৯৩, মিরপুর-১ এলাকায় ৮৮, শান্তিনগরে ৮৭, বসুন্ধরা এলাকায় ৮৫, রমনা এলাকায় ৮৫, চকবাজারে ৮২, আদাবর এলাকায় ৮০, মিরপুর-১২ এলাকায় ৭৮, বনশ্রীতে ৭৪, ডেমরায় ৭৩, ইস্কাটন এলাকায় ৭২, গ্রীনরোডে ৭২, কল্যাণপুরে ৬৮, লালমাটিয়ায় ৬৬, পল্টনে ৬৬, জুরাইনে ৬৪, কলাবাগানে ৬৩, স্বামীবাগে ৫৯, ফার্মগেটে ৫৮, নয়াবাজারে ৫৮, মান্ডায় ৫৭,মতিঝিলে ৫৭, কামরাঙ্গাীরচরে ৫৬, সূত্রাপুরে ৫৬, শাহজানপুরে ৫৫, মিরপুর-১১ এলাকায় ৫৫, ভাটারায় ৫৪, কাফরুলে ৫৩, মানিকনগরে ৫৩, চাঁনখারপুলে ৫০, মিটফোর্ড এলাকায় ৪৮, মিরপুর -১৪ এলাকায় ৪৯, বারিধারা ৪৭, সেগুনবাগিচায় ৪৫, নাখালপাড়ায় ৪৪, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৪৩, গোপিবাগে ৪৩, টিকাটুলিতে ৪৩, নারিন্দায় ৪৩, হাতিরপুলে ৪২, শান্তিবাগে ৪২, এলিফ্যান্ট রোডে ৪০, কাঁঠালবাগানে ৪০, রাজাবাজারে ৩৯, কমলাপুরে ৩৮, পান্থপথে ৩৭, সবুজবাগে ৩৪, পল্লবীতে ৩৪, শাখারিবাজারে ৩৪, কদমতলিতে ৩৪, কোরতায়ালিতে ৩১, গোরানে ৩১, মিরপুরে-২ এলাকায় ৩০, মিরপুর-এলাকায় ২৯, আব্দুল্লাহপুরে ২৮, সিদ্ধেশ^রীতে ২৮, কাওরানবাজারে ২৮, খিলক্ষেতে ২৭, বেইলী রোডে ২৭, লক্ষ্মীবাজারে ২৭, পুরানা পল্টনে ২৭, জিগাতলায় ২৬, রায়েরবাগে ২২, শ্যামপুরে ২২, ধলপুরে ২১, টোলারবাগে ২১, শেওড়াপাড়ায় ২০, পরীবাগে ২০, কাজীপাড়ায় ২০ ও নিকেতনে ২০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
×