ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চীনা চিকিৎসকরা আসায় রোগীরা সাহস পাবেন ॥ ড. মোমেন

প্রকাশিত: ২২:১২, ৯ জুন ২০২০

চীনা চিকিৎসকরা আসায় রোগীরা সাহস পাবেন ॥ ড. মোমেন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ চীনের চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, এই চিকিৎসক দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উৎসাহ পাবেন। এছাড়া এদেশের রোগীরাও সাহস পাবেন। খবর বাংলানিউজের। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশকে সম্মিলিতভাবে করোনা মহামারী মোকাবেলায় কাজ করতে হবে। করোনা বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটা কোন একক দেশের পক্ষে ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সমস্যা মোকবেলায়ও বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের করোনা মোকাবেলায় সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা বিষয়েও বিশেষ আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, আশা করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীনের সহায়তা আমাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে ড. মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ড. মোমেন বলেন, চীনের এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আমাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করবেন। প্রয়োজনবোধে তারা এদেশের করোনা চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। এতে আমাদের রোগীরা সাহস পাবেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, চীন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। করোনা রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। এমনকি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও চীন প্রথম আবিষ্কার করে। চিকিৎসক দল পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং আশ্বস্ত করেছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও চীনের চিকিৎসক দল বাংলাদেশের ডাক্তারদের পরামর্শ প্রদান করেছিল। ইতোপূর্বে চীন সরকার এবং চীনের বেসরকারী সংস্থা আলীবাবা ও জ্যাকমা পিপিই, মাস্ক, টেস্টিং কিট, থার্মোমিটারসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশও চীনকে করোনা মোকাবেলায় চিকিৎসাসামগ্রী পাঠানো করেছিল। বাংলাদেশকে কারোনা চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সোমবার ঢাকায় এসে পৌঁছেছে । তারা আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দীন।
×