ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় রফতানি আয়ে ধস মে মাসে কমল ৬১ শতাংশ

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৯ জুন ২০২০

করোনায় রফতানি আয়ে ধস মে মাসে কমল ৬১ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমে যাওয়ায় দেশের রফতানি আয়ে ধস নেমেছে। চলতি অর্থবছরের মে মাসেও দেশের রফতানি আয় কমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরের মে মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের মে মাসে রফতানি আয় কম হয়েছে প্রায় ৬১ শতাংশ। গত এপ্রিলে কমেছে ৮৩ শতাংশ। আগামী মাসগুলোতেও রফতানি আয়ে এই নেতিবাচক প্রবণতা কমে আসবে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে ১ হাজার ১৫০ কারখানার ৩১৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। ৪৬০ কোটি টাকা মূল্যের হিমায়িত চিংড়ির ২৯৯টি ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল করেছে বিদেশী ক্রেতারা। দুই মাস ধরে সবজি রফতানি বন্ধ। আসবাবে নতুন কোন ক্রয়াদেশ আসছে না। আর চীনের কারণে গত জানুয়ারিতে প্রথম চামড়া খাতেই বিপর্যয় নেমেছিল। ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনা জেঁকে বসার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পণ্য রফতানি খাত টালমাটাল হয়ে পড়েছে। দিন যত গড়াচ্ছে সঙ্কট ততই বাড়ছে। রফতানি আয় ধারাবাহিক কমছে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা বাড়ছে। কাজ না থাকায় কারখানাও বন্ধ হচ্ছে। করোনায় আক্রান্তের এই সময়ে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে রফতানি খাত।সোমবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের মে মাসে দেশের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ সময় আয় হয় মাত্র ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে মাসের চেয়ে এই আয় ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ৬৪.৩৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের এই সময় আয় ছিল ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। উদ্যোক্তারা জানান, করোনার প্রভাবে আগের মাস গত এপ্রিলে স্মরণকালের সবচেয়ে কম আয় হয়েছে। এপ্রিলে মাত্র ৫২ কোটি ডলার রফতানি আয় অর্জিত হয়। আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮৩ শতাংশ আয় কমেছে এপ্রিলে।
×