ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া বৃদ্ধির উদ্যোগ বিআইডব্লিউটিএর

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ৮ জুন ২০২০

যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া বৃদ্ধির উদ্যোগ বিআইডব্লিউটিএর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের যাত্রীবাহী নৌযানের ভাড়া বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কোভিড-১৯ এর কারণে দেশের গণপরিবহনের অর্ধেক আসন ফাকা রাখার প্রেক্ষিতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর বিপরীতে ধারণ ক্ষমতার সমান যাত্রী পরিবহনের প্রতিশ্রুতিতেই সরকারের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করেছে অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থা। বিআইডব্লিউটিএ বলছে আগামী সপ্তাহে দেশের লঞ্চমালিক সমিতি ভাড়া বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দেবে। ইতোমধ্যে তারা ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নৌযান মালিকরা এখনের ভাড়ার দ্বিগুণের বেশি ভাড়া বৃদ্ধি দাবি করেছে। তারা বলছে ২০১৩ সালের পর থেকে ভাড়া বাড়ানো হয়নি এই যুক্তিতে এখন ভাড়া বাড়াতে হবে। কিন্তু আমরা তাদের বলেছি ২০১৩ সালের পর থেকে তো তেলের দামও বাড়েনি। সেক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির যৌক্তিকতা কি, এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলছে নানা ধরনের করের পরিমাণ বেড়েছে ফলে তাদের ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে। সূত্র বলছে করোনার কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরবর্তী স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া প্রত্যাহার হতে পারে। কিন্তু যেহেতু করোনাকে অযুহাত হিসেবে দেখিয়ে নৌযানের ভাড়া স্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে তাই এই ভাড়া প্রত্যাহার হবে না। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে বর্ধিত ভাড়া গুণতে হবে নৌপথের যাত্রীদের। নৌযান চালু করার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বিআইডব্লিউটিএ ওই বৈঠক আহ্বান করে। কিন্তু গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তার আগে থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় আমলে নেয়াতে লঞ্চ মালিকরাও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে এক ধনের চাপ সৃষ্টি করে। লঞ্চ মালিকরা ওই বৈঠকে বলছেন, করোনা সঙ্কটের কারণে যাত্রী কমে গেছে। এছাড়া সরকারী নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বর্তমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতে হলে লোকসান গুণতে হবে; যা মালিকদের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য ভাড়া বাড়ানো দরকার।
×