গাফফার খান চৌধুরী ॥ সচেতনতা ও মনিটরিংয়ের অভাবে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের গুদাম সরানো যাচ্ছে না। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বাড়ির মালিকরা। তারা বেশি টাকা ভাড়ার জন্য তাদের বাড়ি কেমিক্যালের গুদাম হিসেবে ভাড়া দিচ্ছেন। ফলে একের পর এক পুরান ঢাকায় কেমিক্যালের গুদামে অগ্নিকান্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। নিমতলী ও চকবাজার ট্র্যাজেডির পর সরকারের তরফ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ কেমিক্যালের গুদাম বাধ্যতামূলকভাবে সরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারের তরফ থেকে টঙ্গী ও শ্যামপুরের বিশাল এলাকাজুড়ে কেমিক্যাল সুরক্ষিত রাখার গুদাম তৈরি করা হচ্ছে। এর পর সরিয়ে দেয়া হবে কেমিক্যালের গুদাম। আর সিটি কর্পোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে কেমিক্যালের ব্যবসা করার জন্য নতুন কোন লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না।
সর্বশেষ শনিবার পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার এলাকায় তিনটি কেমিক্যালের গুদামে অগ্নিকান্ডে দুই জনের মারাত্মকভাবে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। তারা শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জীবনের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন।
এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, নিমতলী ও চকবাজার ট্র্যাজেডির পর বহুভাবে পুরান ঢাকাসহ আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যালের গুদাম সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যেই নতুন করে কেউ যাতে কেমিক্যালের ব্যবসা করতে না পারেন, এজন্য লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তরফ থেকেই নতুন করে লাইসেন্স প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। কারণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইস্যুতে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
তিনি বলছেন, যারা কেমিক্যালের ব্যবসা করছেন, তারা নিয়মাফিক করছেন কিনা তা তদারকি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: