ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিলি স্থলবন্দরে আড়াই মাসে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব কমেছে

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ৭ জুন ২০২০

হিলি স্থলবন্দরে আড়াই মাসে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস-এর প্রভাব পড়েছে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। প্রায় আড়াই মাস স্থলবন্দরে আমদনি-রফতানি বন্ধ থাকার ফলে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। অনেক জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে শনিবার আংশিক ও রবিবার থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। করোনায় প্রায় আড়াই মাস সময় ধরে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। শুক্রবার (৫ জুন) বিকালে হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শনিবার থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শনিবারও আমদানি-রফতানির তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। তবে আজ রবিবার সকাল থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস হিলি স্থলবন্দরে দু’দেশের আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় করতে পারেনি কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ। বিগত দুই মাসে ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করার কথা থাকলেও, করোনার কারনে রাজস্ব আদায় শুন্যের কোঠায়। গেলো অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ২শ’ ৭১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিলেও, তা আদায় করা সম্ভব হয়নি শুল্ক স্টেশনটির। হিলি কাস্টমস সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় আড়াই মাস হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় গেলো অর্থবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর থেকে বেধে দেওয়া রাজস্ব আদায়ের টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয়নি। প্রতি বছরই সব থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হয় এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে। কারন রমজান মাস এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এই বন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পণ্য জিরা, আদা, বাদামসহ অনেক পণ্য বেশি আমদানি হয়ে থাকে। এ বছর এসব পণ্য আমদানি না হওয়াতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।
×