ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ও আগামীকালের ফ্লাইটও বাতিল বিমানের

প্রকাশিত: ২১:১১, ৭ জুন ২০২০

আজ ও আগামীকালের ফ্লাইটও বাতিল বিমানের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও যাত্রী সঙ্কটে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার কোন ফ্লাইট পরিচালনা করবে না বিমান। এ নিয়ে টানা সাতদিনের ফ্লাইট বাতিল করল রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সটি। শনিবার বিমান সূত্র জানায়, যাত্রী সঙ্কটের কারণে সামনের দুদিনের ফ্লাইটও বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে এয়ারলাইন্সটি। এদিকে শনিবার বিভিন্ন চার্টার্ড ফ্লাইটে ভারত, মালদ্বীপ ও ইথিওপিয়া থেকে ৩৭৫ বাংলাদেশীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আনা হয়েছে। জানা গেছে, সকালে ইথিওপিয়া থেকে নাইজিরিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৮ বাংলাদেশী ঢাকায় ফেরেন। তারা সেদেশে আটকা পড়েছিলেন। ওই ফ্লাইট ঢাকায় তাদের নামিয়ে শতাধিক যাত্রীকে নিয়ে চলে গেছে ম্যানিলায়। তারা সবাই ফিলিপিন্সের নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে ইথিওপিয়া প্রবাসী। একই দিন সন্ধ্যায় মালদ্বীপ ও ভারত থেকে দুটো ফ্লাইটে আসে তিন শতাধিক বাংলাদেশী। বিকেল পাচটায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরে আসেন। তাদের বেশিরভাগই ছাত্র। এর পর মালদ্বীপ থেকে আসে ২৬৫ বাংলাদেশী । তারা সবাই সেখানে আটকা পড়েছিলেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, যাত্রীর সবাই সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে আসায় ঢাকায় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে যেতে হয়নি। তাছাড়া কারোর দেহেই তাপমাত্রা বেশি না থাকায় হোম কোয়ারেনটাইনে দেয়া হয়। ভারত থেকে চলতি সপ্তাহে আরও দুটো ফ্লাইটে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া হিথরো বিমানবন্দরে আটকে পড়া একদল বাংলাদেশী যাত্রীকেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিমানের একটি স্পেশাল ফ্লাইট রোমে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কিছু যাত্রী নিয়ে ওই একই ফ্লাইট হিথরো থেকে নিয়ে আসবে আটকে পড়াদের। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৬৯ দিন বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীণ তিন রুটে গত ১ জুন ফ্লাইট চলাচল শুরু করে বিমান। তবে ফ্লাইট চালুর দ্বিতীয় দিন ২ জুন ও তৃতীয় দিন ৩ জুন যাত্রী সঙ্কটের কারণে কোন ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারেনি বিমান। ৪ জুন টানা তিন দিনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। সর্বশেষ গত ৪ জুন জানানো হয়, ৫ ও ৬ জুনের সব সিডিউল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আর আজ জানানো হলো আগামী দুদিনের ফ্লাইট বাতিলের কথা। যদিও বিমানের রুটগুলোতেই যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে বেসরকারী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ারের ফ্লাইট। শনিবার ইউএস বাংলার ৮টি ও নভোর ৬টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর চলাচল করেছে। মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের যাত্রীও বাড়ছে আশানুরূপ।
×