ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে বোরোর বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ১৫:১০, ৬ জুন ২০২০

পঞ্চগড়ে বোরোর বাম্পার ফলন

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও পঞ্চগড়ের কৃষকরা ফসলের উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানামুখী সঙ্কটময় সময় পার করলেও অনুকুল আবহাওয়ায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান কাটতে না পারায় কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। আবার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় বোরো ক্ষেতে ব্লাষ্ট রোগ দেখায় চিন্তিত কৃষক। তবে, উৎপাদিত ধানের বাজার দর ভালো পাওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছে কৃষক। ব্রি ধান ২৮ বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২০ থেকে ২২ মন। এছাড়াও হাইব্রিড ধানের এবার বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ মণ পর্যন্ত। সঙ্কটময় সময়ে ধানের অধিক ফলন ও বাজার মুল্যে বেজায় খুশি জেলার কৃষক। শ্রমিক সংকটের পরও অনেক কৃষকই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্ষেতের পাকা ধান কেটে ফেলছেন। বড়শশী ইউপির ঘোড়ামাড়া এলাকার সফিয়ার রহমান জানান, তার ৩ বিঘা বোরো ক্ষেতের কিছু কিছু অংশে ব্লাষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ক্ষেতে ধান পেকে রয়েছে। এখনই ধান কাটতে না পারলে পাতান পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র বলছে, অন্যান্য জেলার চেয়ে পঞ্চগড়ে একটু দেরীতে বোরো চারা রোপণ করা হয়। তাই বোরো ধান পাকতে কিছুটা বিলম্বিত হয়। এরপরও এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে বাজার মুল্য ভালো পাওয়ায় বোরো আবাদে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। বোরো চাষের পর কৃষকরা জমি যাতে ফেলে না রাখে সেজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আউশ আউশ বীজ ও সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণসহ পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রমতে, জেলায় এ বছর ২৯ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে যা থেকে ১ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। সবচেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায়। এই দুই উপজেলাতেই ২০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এদিকে, করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের মুখের হাসি ধরে রাখতে সরকার ধানের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করতে জেলার ৫ উপজেলায় উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটি লটারীর মাধ্যমে সরাসরি কৃষক পর্যায়ে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। .
×