ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে স্কুলছাত্রী হত্যার ৭ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

প্রকাশিত: ২২:১৫, ৬ জুন ২০২০

জামালপুরে স্কুলছাত্রী হত্যার ৭ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৫ জুন ॥ জামালপুরের মাদারগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়া হত্যাকা-ের ঘটনার সাতদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা জামিল মিয়া। ওই মেয়েকে উত্ত্যক্তকারী প্রতিবেশী প্রান্ত নামের এক বখাটে যুবকের সঙ্গে যৌতুকসহ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রান্ত ও তার লোকজনরা প্রিয়াকে অপহরণ করে বিষ খাওয়ায়ে হত্যা করেছে বলে প্রিয়ার বাবা অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় মামলা না নেয়ায় উত্ত্যক্তকারী প্রান্ত ও তার লোকজনদের হুমকির মুখে জামিল মিয়া তার পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া ছুরিপাড়া গ্রামের ইসরাফিল হোসেন বাবলুর বখাটে ছেলে মহাইমিনুল ইসলাম প্রান্ত (২২) প্রতিবেশী জামিল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া আক্তারকে (১১) স্কুলে যাওয়া আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানি করে আসছিল। প্রিয়া আক্তার জাঙ্গালিয়া ডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। মেয়েটি তার বাবা-মাকে ঘটনা খুলে বললে তার বাবা জামিল মিয়া স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে বখাটে যুবক প্রান্ত ও তার পরিবারের লোকজনরা উল্টো তাকে এবং তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে প্রান্ত আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রান্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা গত ২৪ মে রাতে প্রিয়াদের বাড়িতে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকার যৌতুকসহ প্রিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জামিল মিয়া তার মেয়েকে ওই বখাটে যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হলে প্রিয়াকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। এর কয়েকদিন পর ৩০ মে রাতে প্রিয়া আক্তার প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৩১ মে রাত ২টার দিকে বাড়ির কাছেই স্থানীয় মজনু মিয়ার ধান খেতের আইলে মুখে বিষের গন্ধসহ অর্ধমৃত অবস্থায় প্রিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ জুন ভোর পাঁচটার দিকে প্রিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় প্রিয়ার বাবা জামিল মিয়া বাদী হয়ে ১ জুন মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে প্রান্ত মিয়া ও তার বাবা ইসরাফিল হোসেন বাবলুসহ পাঁচজনকে আসামি করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। প্রিয়ার বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার সেই অভিযোগটি আমলে নেয়নি মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, জামিল মিয়ার মেয়ে প্রান্ত হত্যার অভিযোগে মাদারগঞ্জ থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
×