ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে একদিনে ১০ হাজার করোনা আক্রান্ত

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ৬ জুন ২০২০

ভারতে একদিনে ১০ হাজার করোনা আক্রান্ত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ এবার করোনামুক্ত হলো ফিজি। মারা যাননি একজনও। করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু এক লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনা মৃত্যুতে ইতালি ও স্পেনকে ছাড়িয়ে গেল ব্রিটেন। সৌদিতে একদিনে মৃত্যু আরও ৩২ জন। নতুন করে আক্রান্ত ১৯৭৫ জন। সারাবিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার। মৃত্যু মাত্র পাঁচ হাজার। ভারতে একদিনে শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার। লাতিন আমেরিকায় নতুন মৃত্যুপুরী পেরুতে ৫ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে। বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও ওয়ার্ল্ডোমিটারের। সারাবিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৫ জন হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ৯৫ হাজার ৭২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২ লাখ ৯৭ হাজার ৩৬৩ জন। এ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৫৩ হাজার ছয় শ’ জন। শুক্রবার দিনের প্রথম প্রহরে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৪৩ জন। নতুন করে মারা গেছেন এক হাজার ৩৭৯ জন। করোনামুক্ত হলো ফিজি ॥ করোনায় আক্রান্ত শেষ রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজিকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সরকার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের ওই সফলতার ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যখন ফিজিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন, তখন দেশটির ৯ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দেশটির সরকার কঠোর আইসোলেশন এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম হয়। যে কারণে দেশটিতে মাত্র ১৮ জন মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হন। ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা দেশ করোনামুক্ত হওয়ার পেছনে প্রার্থনা, কঠোর পরিশ্রম এবং বৈজ্ঞানিক নিশ্চিতকরণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন। এক টুইটে তিনি বলেন, ফিজি আজ আমাদের সর্বশেষ কোভিড-১৯ রোগীকে ছাড়পত্র দিয়েছে। আমাদের পরীক্ষার সংখ্যার দিনে দিনে বাড়ানো হলেও সর্বশেষ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন প্রায় ৪৫ দিন আগে। এখন পর্যন্ত একজনও কোভিড-১৯ এ মারা যাননি। আমাদের দেশে কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হওয়ার হার ১০০ শতাংশ। ডায়াবেটিস, হৃদরোগের প্রচুর রোগী এবং দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর কারণে দেশটিতে ভাইরাসের মারাত্মক প্রকোপের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। ভৌগোলিক দিক থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আইসোলেশন সমস্যায় সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হওয়ারও শঙ্কা ছিল। যদিও সব শঙ্কা উড়িয়ে শুক্রবার দেশটি করোনামুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা। ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশও করোনা আতঙ্কের কারণে একেবারে শুরুর দিকেই তাদের সীমান্ত অতি দ্রুত বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয়, পর্যটক নিষিদ্ধের মতো ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পর্যটনের জন্য জনপ্রিয় এসব দেশ। এমন সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পালাও, টোঙ্গা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াতু, কুক আইল্যান্ড এবং মাইক্রোনেশিয়াতে এখন পর্যন্ত একজন করোনা রোগীও পাওয়া যায়নি। করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন নিউইয়র্ক সিটির ॥ প্রথমবারের মতো একদিনে নিউইয়র্ক সিটিতে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গত মার্চের মাঝামাঝিতে সেখানে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম কেউ করোনায় মারা যায়নি। আগামী সপ্তাহ থেকেই সবকিছু পুনরায় খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি। এরই মধ্যে এমন খবর অনেকটাই স্বস্তি দিল সেখানকার মানুষকে। নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গল এবং বুধবারের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্ক সিটিতে একজনও মারা যায়নি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা একটি মাইলফলক হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেও মেয়র বিল ডে ব্লাসিওর প্রেস সেক্রেটারি ফ্রেডি গোল্ডস্টেইন বলেছেন, এটা সত্যিই খুব ভাল খবর। যুক্তরাষ্ট্রে আরও ৮৭৬ মৃত্যু ॥ চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া প্রাণঘাতী করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যান্য দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক লাখ ১০ হাজার ১৭৩ জন। তবে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজারের বেশি। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৬ জন এবং মারা গেছে ৮৭৬ জন। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৫২৮ এবং মারা গেছে ১ লাখ ৮ হাজার ২০৮ জন। যদিও ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৫১। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাত লাখ ১২ হাজার ২৫২ জন। বর্তমানে করোনার এ্যাক্টিভ কেস ১১ লাখ এক হাজার ৬২৬ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৭ হাজার ৮৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রেও ৫০ অঙ্গরাজ্যের সবই করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৩০ হাজার ২৮১ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুতে নিউইয়র্কের পরেই রয়েছে নিউজার্সি, ইলিনয়েস, ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস, পেনসিলভানিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। একদিনে আক্রান্ত এক লাখ ২৯ হাজার ॥ বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার মানুষ। প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি। শুক্রবার পর্যন্ত পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন। শীর্ষ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বুধবারও ১ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে রাশিয়া, ব্রাজিল ও ব্রিটেন সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ব্রাজিলে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এক হাজার ৪৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩১ হাজারের বেশি। ইউরোপের দেশগুলোতে লকডাউন শিথিলের পর হঠাৎই মৃত্যু আর সংক্রমণ বেড়েছে। ব্রিটেন ১৫ জুন থেকে কড়াকড়ি শিথিল করলেও, গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে ১৫ শহরে ছুটির দিনে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। ভারতে আরও ২৭৩ মৃত্যু ॥ ভারতে হু-হু করে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও নয় হাজার আট শ’ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৭০ জনে। সম্প্রতি লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা শনাক্ত বেড়ে চলায় ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুই দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ব্যাপারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারী হিসাবে দেশটিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আরও ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৩৪৮ জনে। শনাক্তদের মধ্যে আরোগ্য লাভের হার ৪৮ শতাংশ বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, মার্চে লকডাউন দেয়ার পর থেকে অভিবাসী শ্রমিকরা নানাভাবে শহর ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়ায় সাম্প্রতিকতম সময়ে ভারতের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। পেরুতে প্রাণহানি ৫ হাজারের বেশি ॥ প্রাণঘাতী করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকা। ব্রাজিল, পেরু, চিলি, মেক্সিকোর মতো দেশগুলোয় আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনায় লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিল। এরপরেই রয়েছে পেরু। ইতোমধ্যেই করোনায় মৃত্যু পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পেরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে ১৩৭ জন। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৮৪ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, পেরুতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৬ হাজার ২২৮ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার এ্যাক্টিভ কেস এক লাখ এক হাজার ৯৩৯। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে এক হাজার পাঁচজন। সৌদিতে আরও ৩২ ॥ সৌদি আরবে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩ হাজার ১৫৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩২ জন। এ নিয়ে করোনায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১১ জন। নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮০৬ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৬৫ জন। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ হাজার ৫৮১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন এক হাজার ৩৮১ জন। গত কিছুদিন আক্রান্তের সংখ্যা কিছু কমলেও আবার আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং ভাইরাসজনিত কারণে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও আগের থেকে বাড়ছে। গোটা বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে করোনার প্রকোপে। ইউরোপে সর্বোচ্চ মৃত্যু ব্রিটেনে ॥ কোভিড-১৯’র দাপটে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা ব্রিটেনের লোকজন। করোনায় এক সময়কার মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠা ইতালি ও স্পেন থেকেও ছাড়িয়ে গেছে ব্রিটেনের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত ব্রিটেনে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মারা গেছেন প্রায় ১৭৬ জন। এ সময় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০০ জন। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের মতে, ২২ মে পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মৃত্যুসহ মোট ৪৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন। সেই হিসাবে এখন মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ব্রিটেনে করোনায় মারা গেছেন ৩৯ হাজার ৯০৪ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৫৭ জন। জানুয়ারির শেষে ব্রিটেনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। মার্চে এসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। এ সময় মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। মৃতের তালিকায় ইউরোপের প্রথম এবং বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। বুধবার পুরো ইউরোপের চেয়ে একদিনে বেশি মৃত্যু দেখা যায় ব্রিটেনে। অপরদিকে ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৩ জন, আর মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৩ জন। মারা গেছেন ২৭ হাজার ১১৩ জন।
×