ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারী নির্দেশনা না মেনে বসছে গবাদি পশুর হাট

প্রকাশিত: ২০:৫১, ৫ জুন ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারী নির্দেশনা না মেনে বসছে গবাদি পশুর হাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ জেলায় আরো একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও্ ভূমি অফিসের এক কর্মচারীসহ ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছো ১৩০ জন । এপর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৪ জন এবং মারা গেছেন দুইজন। এরপরও জেলায় করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে জনসমাগম কমছে না । বিশেষ করে সরকারী নির্দেশনা ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনকে অম্যান্য করে প্রশাসনের নাকের ডোগায় বসছে জেলার গবাদিপশুর প্রায় সকল হাট। এসব হাটে গেলে দেখা যায় মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব। আজ শুক্রবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ীহাটে এবং বুধবার সদর উপজেলার গড়েয়া হাটে ছিল তেমনি অবস্থা। হাটে আগত অধিকাংশ লোকজনের মুখে ছিল না কোন মাস্ক। এমনকি হাট ইজাদার কর্তৃক বিভিন্ন কাজে নিয়োগকৃত ব্যক্তিরাও মানছে না সামাজিক দূরুত্ব ও পড়ছে না মাস্ক। অনেককে দেখা যায়, সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পড়ছেন । একই অবস্থা দেখা যায়, সদরের খোচাবাড়িহাট, রানীশংকৈলের নেকমরদহাট, হরিপুরের যাদুরানীহাট, বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীহাট ও পীরগঞ্জের জাবরহাটে। প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা সরকারি নির্দেশনা ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা তাদের গবাদিপশুসহ বিভিন্ন পণ্যা সামগ্রী বেচা-কেনা করছে। ফলে এসব হাটের কারণে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বিস্তার লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এব্যাপারে অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর সচেতনমহল মনে করছে প্রশাসনের এমন নীরবতার কারণেই করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় দুইজন এবং উপসর্গ নিয়ে দুইজন মারা গেছে এবং ১২২জন আক্রান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এদিকে যাদুরানী হাট ইজাদার আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করতে এবং গবাদিপশুসহ পণ্য বেচা-কেনার কথা বলছি কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ মানুষ মানছে না। তিনি আরো বলেন, হাটে আসতে হলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ ও সরকারি নির্দেশনা মেনে আসতে হবে, এবিষয়ে শীগ্রই মাইকিং করা হবে।
×