ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাহিদা বেড়েছে সবজির বেড়েছে দামও

প্রকাশিত: ১৯:০৮, ৫ জুন ২০২০

চাহিদা বেড়েছে সবজির বেড়েছে দামও

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মানুষের আনাগোনা বাড়ার কারণে বাজারে চাহিদা বেড়েছে সবজির। সেই সাথে বেড়েছে দামও। ঈদের পর গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙে, করলা, পেঁপেসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। তবে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর প্রথম দিকে সবজি চাহিদা কম ছিল। তবে কয়েকদিন ধরে চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া বৃষ্টিতে সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম এখন কিছুটা বাড়তি। সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে। সবজির পাশাপাশি কিছুটা দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। রোজার ভেতরে ও ঈদের পর কিছু দিন ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। মগবাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা ব্যবসায়ী বলেন, বৃষ্টিতে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে তুলনায় দাম খুব একটা বাড়েনি। করোনার কারণে বাজারে এখনও সবকিছুর চাহিদা কম রয়েছে। একটু চাহিদা বাড়লেই সবকিছুর দাম আরও বেড়ে যাবে। শুক্রবার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাকা টমেটো, গাজর, পটল, ঝিঙে, ধুন্দল, বরবটি, পেঁপেসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। তবে রোজার ভেতর ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। রোজার ভেতর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁপের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গোল আলুর দাম বেড়ে ২৮ থেকে ৩৫ টাকা হয়েছে। বাজার ও মান ভেদে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগেও বিভিন্ন বাজারে ৩০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছিল। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি, কচুর মুখী, ধুন্দল, ঝিঙে ও কাকরোল। ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগেই ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির কারণে সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ঈদের পর কিছুদিন সবজির চাহিদা ছিল না। এ কারণে ঈদের পর সবজির দাম বাড়েনি। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে সবজির চাহিদা বাড়ছে ফলে দামও বাড়ছে। মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। আগের তুলনায় এখন বাজারে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। বিক্রিও তুলনামূলক বেড়েছে। এদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৫০০ টাকা। নলা (ছোট রুই) মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০-১৮০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর মৌসুমি ফলের সরবরাহ দেখা গেছে। দামও সাধ্যের মধ্যেই।
×