স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জনের মৃত্যু এবং ২৪২৩ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৭৮১ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে। ২৪ ঘণ্টায় ৫৭১ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১২ হাজার ১৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৯৪টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৭টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় বৃহস্পতিবার নতুন রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ২১ জনই ঢাকা বিভাগের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ছয় জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন। মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে দুই জন এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের একজন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ২২ জনের, বাসায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৮৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ছয় হাজার ৭৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৬৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে দুই হাজার ৩৭৫ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৯৫ হাজার ১৮৮ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৬৩৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে ডাঃ নাসিমা বলেন, মনে রাখবেন নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে, নিজের পরিবারের সুরক্ষাও আপনার হাতে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: