ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় মেস ও বাসাভাড়া নিয়ে বিপাকে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৫ জুন ২০২০

করোনায় মেস ও বাসাভাড়া নিয়ে বিপাকে জবি শিক্ষার্থীরা

জবি সংবাদদাতা ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীতে মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজধানী পুরান ঢাকার অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে আয়ের পথ টিউশনি ও পার্টটাইম জব বন্ধ থাকায় বাসা ভাড়া জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া দেয়ার জন্য রীতিমতো হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন বাসা বাড়ির মালিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জবির এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, লকডাউনের দ্বিতীয় মাস থেকেই বাসার মালিক ফোন দিয়ে বাসা ভাড়া চাচ্ছে। কিন্তু মেসের অন্য সদস্যরা দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকায় মেস ভাড়া দেয়ার অবস্থায় নেই। তারা ভাড়া দিতে অপারগ। এদিকে বাড়িওয়ালা বাসা থেকে মালপত্র বাহিরে ফেলে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার এক বাড়িওয়ালা বলেন, আমরা ঘর ভাড়া থেকে যে টাকা পাই, সেই টাকা দিয়েই সংসার চালানোসহ যাবতীয় কাজ করি। তাছাড়া নিয়মিত গ্যাস, বিদ্যুত, পানির বিল তো দিতেই হয়। এখন যদি ঘরভাড়ার টাকা না পাই, তাহলে আমার সংসার চলবে কি করে? সঙ্কটের এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেস ও বাসাভাড়া। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে মেস ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মালিকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন। যেসব শিক্ষার্থী মেসে অবস্থান করছেন ভাড়া বাবদ তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করছেন। যারা মেসে নেই মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের জন্য তাগিদ দেয়া শুরু করেছেন। মেসের বর্ডারদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা খ-কালীন চাকরি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালান। আবার অনেকে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারও চালান। কিন্তু করোনা মহামারীতে এসব শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। পরিবারের আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা মেসের ভাড়া পরিশোধ করতে পারছেন না। জবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। অনেকেই টিউশন বা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ করে নিজের খরচ বহন করেন। কিন্তু এখন সেই পথ বন্ধ। এ অবস্থায় মানবিক বিবেচনায় মেস মালিকদের উচিত ভাড়া মওকুফ করা। দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো তাদের জীবন ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। কিভাবে মেসের এত টাকা পরিশোধ করব। মেস মালিকদের মেসের ভাড়া মওকুফ করার দাবি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী বেশি।
×