ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পঙ্গপাল দমনে করণীয় বিষয়ক পর্যালোচনা সভা

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৫ জুন ২০২০

পঙ্গপাল দমনে করণীয় বিষয়ক পর্যালোচনা সভা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আবহাওয়া আর্দ্র হওয়ায় এবং বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০০০ মি.মি.-এর বেশি হওয়ায় এদেশে পঙ্গপালের আক্রমণের আশঙ্কা ক্ষীণ। তবে সম্ভাব্য আক্রমণ দমনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিএআরসির ১ নং সভাকক্ষে পঙ্গপালের আক্রমণ দমনে করণীয় বিষয়ক অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা এ মত ব্যক্ত করেন। খবর বিজ্ঞপ্তির। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মোঃ আবদুর রৌফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ। সভায় জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা (এফএও)-এর পক্ষে ড. নুর আহম্মেদ খন্দকার, সহকারী এফএও প্রতিনিধি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পঙ্গপালের আক্রমণ বিষয়ক একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে সম্প্রতি কক্সবাজারের টেকনাফের পঙ্গপাল সদৃশ পোকার উপস্থিতি বিষয়ে ড. নির্মল কুমার দত্ত, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিএআরআই, অপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন সভার প্রধান অতিথি সম্প্রতি ভারতের কয়েকটি রাজ্যে পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশেও এর আক্রমণ হতে পারে। এজন্য পূর্ব থেকেই আমাদের প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন। এই ধ্বংসাত্মক পোকার আক্রমণ হতে ফসল রক্ষার্থে বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ পোকার দমন বিষয়ে করণীয় ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য তিনি বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানান। সম্প্রতি টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকার সন্ধান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিএআরআই), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী সেগুলো ছিল ঘাসফড়িং জাতীয় পোকা যা পঙ্গপালের ন্যায় বিধ্বংসী নয়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, পঙ্গপালের আক্রমণ দমন বিষয়ে করণীয় ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে অদ্যকার সভার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। পঙ্গপালের সম্ভাব্য আক্রমণ দমনে করণীয়, অন্যান্য দেশে আক্রমণ দমনে অভিজ্ঞতা, দেশে স্প্রে ও ড্রোন জাতীয় যন্ত্র এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশকের প্রাপ্যতা, পঙ্গপালের কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পঙ্গপালের সম্ভাব্য আক্রমণ দমনে করণীয় বিষয়ে একটি জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়।
×