ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শূটিংয়ে ঢাকাই সিনেমা!

প্রকাশিত: ০০:১৬, ৪ জুন ২০২০

শূটিংয়ে ঢাকাই সিনেমা!

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান সাধারণ ছুটি শিথিল করা হয়েছে। গত রবিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা হয়েছে সব ধরনের অফিস-আদালত। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও চালু হয়েছে গণপরিবহন ও নৌযান। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা এখন চরম পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এদিকে লকডাউন শিথিলের আগেই নতুন চলচ্চিত্রের শূটিং করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। ‘কোভিড-নাইন্টিন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী ও চিত্রনায়িকা অধরা খান। গত শুক্রবার (২৯ মে) কমলাপুর রেলস্টেশনে ছবির শূটিং শুরু হয়। এরপর সদরঘাট ও আশপাশে আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় শূটিং হয়েছে। অনেকটা গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে এই ছবির শূটিং শুরু হয়। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ছিল বলে মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক জানান, ফাঁকা ঢাকার দৃশ্যটি গল্পের প্রয়োজনে জরুরী ছিল যার কারণে লকডাউন তুলে নেওয়ার আগেই আমাদের শূটিং করতে হয়েছে। এই সময়ে শুট না করলে হয়তো পাওয়া যেত না। তাই আউটডোরের কিছু কাজ করা হয়েছে। তবে শূটিং ইউনিট যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিল। ইউনিটে একজন ডাক্তার ছিলেন। আমাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শুটিং করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শূট করেছি। পরবর্তী শূটিং আগামী জুলাইতে শুরু হবে। এদিকে গত মঙ্গলবার চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি ও পরিচালক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ৫ জুন (শুক্রবার) থেকে সিনেমার শুটিং, ডাবিং, রেকর্ডিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে আমরা শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনিতেই সিনেমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই শুটিং বন্ধ রাখার আর উপায় নাই। তবে যারা শুটিং করবেন তাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করতে হবে। তাছাড়া প্রধান শিল্পী ও কলাকুশলীদের করোনা টেস্ট করিয়ে এরপর শুটিংয়ে অংশ নিতে হবে। করোনাকালে এলো ঈদ। তবে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নেই ঈদের আমেজ। অথচ প্রতিবছর এ বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে থাকত দর্শক সমাগমে মুখরিত। কারোনার কারণে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম সিনেমা হলো কবে খুলবে তারও নেই ঠিক। এদিকে লোকসানের মুখে ভেঙে ফেলা হচ্ছে রাজধানীর পুরনো সিনেমা হল অভিসার, স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে একই মালিকের আরেক সিনেমা হল নেপচুন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের সব শিল্প-কারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৩১ মার্চ থেকে কাজ শুরু হলেও আন্তঃসংগঠনের একটি বিভ্রান্তিকর নোটিসের কারণে নাটক, ওয়েব সিরিজ ও টেলিফিল্মের শূটিং অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ডিরেক্টরস গিল্ডের নোটিসে যে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছে তার মধ্যে প্রথম দুটি পয়েন্ট সাংঘর্ষিক ও উদ্দেশ্য প্রণীত বলে মনে করছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট। যার ফলে অনেকে লোকসানের ঝুঁঁকি নিয়ে কাজে নামতে ভয় পাচ্ছেন। কেউ আবার সেই ঝুঁঁকি নিয়েই কাজে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শূটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিএফডিসি। শুরু হয়েছে দাফতরিক কার্যক্রম। শিগগিরই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) শূটিং-এ ফিরবে। জানা গেছে, এরই মধ্যে শূটিংয়ের জন্য বিএফডিসির ফ্লোরগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন থেকে ফ্লোরে শূটিং করতে পারবে। সারা বিশ্বকে ঘিরে থাকা এই আঁধার একদিন কেটে যাব। আবারও নতুন আলোয় হাসবে সবাই। তখন আবার মুখরিত হবে বিনোদন মাধ্যম এমনই প্রত্যাশা সবার।
×