ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজিবিতে যুক্ত হলো দ্রুতগতির ইন্টারসেপ্টর

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ৪ জুন ২০২০

বিজিবিতে যুক্ত হলো দ্রুতগতির ইন্টারসেপ্টর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যুক্ত হলো অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন অস্ত্রসজ্জিত চারটি ইন্টারসেপ্টর জলযান। এতে স্থল ও জল সীমান্তের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব হবে। বুধবার বিজিবি সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) এ সংযোজিত হলো জলযানগুলো। সিলভার ক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ হর্স পাওয়ার তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ সৈন্য ধারণে সক্ষম। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ নটিক্যাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার। জলযানসমূহ যেকোন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম। এতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম, চতুর্থ প্রজন্মের জিপিএস, আধুনিক সোলার সিস্টেমসহ সংযোজিত আছে অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। জলযানসমূহ নিজস্ব অবস্থান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুর জলযানের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এগুলোয় দুজন মুূমূর্ষু রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ১৮০ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ৬৩ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত আছে। এতে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও টহল আরও শক্তিশালী হবে এসব জলযানের কারণে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় ই এ ই নিয়োজিত হয়। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সীমান্তবর্তী নাফ নদী। আন্তঃদেশীয় অপরাধীদের নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন, মানব পাচার, চোরাচালান, ইয়াবাসহ মাদক পাচারে চোরাকারবারিদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি এবং চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অপরদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাতক্ষীরার নীলডুমুরের সুন্দরবন অংশের গহিন অরণ্যের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমান্তেয়ও অনুরূপ চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। বাংলাদেশের নৌ সীমান্তে বিশেষ করে মিয়ানমার সীমান্তের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, নাফ নদী এবং ভারত সীমান্তের নীলডুমুর ও সুন্দরবনের গহিন অরণ্যের জলসীমান্তের আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবির সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য বিজিবিতে সংযোজিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যানগুলো দেশের সীমান্ত এলাকার নদী পথকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ করে সীমান্ত অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, ইয়াবাসহ মাদক পাচার ও চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
×