ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গণস্বাস্থ্যের কিটের ফল আগামী সপ্তাহে

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ৪ জুন ২০২০

গণস্বাস্থ্যের কিটের ফল আগামী সপ্তাহে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জি আর র‌্যাপিড ডট ব্লট এন্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার ফল এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আজ বৃহস্পতিবার কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হচ্ছে। এরপর তথ্য বিশ্লেষণ করে ফল প্রস্তুত করা হবে। তবে দুই ধরনের কিট ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য জমা দেয়া হলেও এক ধরনের কিটের কার্যকারিতার পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিএসএমএমইউকে বুধবার একটি চিঠি দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জি আর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ব্লট ইমিউনোএ্যাসি- এন্টিজেন এবং জি আর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ব্লট ইমিউনোএ্যাসি-এন্টিবডি দুই ধরনের কিট পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমএই-এর কাছে জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে এন্টিজেন কিটের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে এন্টিবডি কিটের পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ-এর ভিসি ডাঃ কনককান্তি বড়ুয়া জনকণ্ঠকে বলেন, তারা একটি কিটকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। চিঠিতে একটি কিটের কার্যকারিতার নমুনা সংগ্রহ ঠিকভাবে হচ্ছে না এ বিষয়ে তারা পুনরায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এটি উল্লেখ রয়েছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, তারা বিষয়টি ঠিক করে দেবে এটি তো আরও আগে থেকেই বলছে। বিষয়টি নিয়ে বাইরে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে যা একেবারেই সঙ্গত নয়। যে কারণে আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাদের এন্টিবডি কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়ে দেব। গণস্বাস্থ্যের কিটের ফল কেমন পেয়েছেন জানতে চাইলে ভিসি বলেন, এ সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করা কঠিন। বৃহস্পতিবার ট্রায়াল শেষ হবে। এরপর তথ্য বিশ্লেষণ করলে বলা যাবে ফল কি দাঁড়াল। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বিএসএমএমইউ-এর কাছে যে দুই ধরনের কিট পরীক্ষার জন্য দিয়েছিল। এর একটি দিয়ে এন্টিবডি টেস্ট করা কথা। সাধারণত কোন ব্যক্তি ভাইরাস আক্রান্ত হলে তার শরীরে এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। তবে এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে সাত দিন বা কোন কোন ক্ষেত্রে তারও বেশি সময় প্রয়োজন নয়। ফলে এই সময়ের মধ্যে কেউ পরীক্ষা করালে তার শরীরে এন্টিবডি সৃষ্টির তথ্য মিললে ধরে নিতে হবে তিনি ভাইরাস আক্রান্ত। তবে এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্ত নির্ধারণের বিষয়ে বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশের মত পার্থক্য রয়েছে। মহামারীর গতি প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য এ ধরনের পরীক্ষা করা জরুরী হলেও করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এই কিট কতটা কার্যকর তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। বিশে^র বিভিন্ন দেশ এন্টিবডি টেস্ট করলেও পরে সরে এসেছে।
×