ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভার্চুয়াল আলোচনা

মানুষের পাশে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ৪ জুন ২০২০

মানুষের পাশে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ তার সাংগঠনিক শক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রেখে সহায়তা প্রদান করেছে বলেই দেশের কোথাও খাদ্যের অভাব হয়নি। শুধু রাজধানী, জেলা বা মহানগর নয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি এবং তাদের সহযোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক কাঠামোর সমন্বয় না হলে কার্যক্রম সফল হতো না। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে যোগ দিয়ে নেতারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখায় দেশের কোথাও খাদ্যের অভাব হয়নি। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত মানুষের পাশে আছে। আমরা খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষকের ধানকাটা থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দলীয় জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রেখেছেন, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। আর এ কারণেই কারণে দেশের কোথাও খাদ্যের অভাব হয়নি। আর প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যরা এমনকি আমাদের দলীয় পর্যায়ের নেতারা সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেটে সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানে এবারের পর্বের বিষয়বস্তু ছিল ‘করোনা সঙ্কটে জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলি ফরহাদ। মাহবুব-উল আলম হানিফ ছাড়াও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা আলোচনায় যুক্ত হন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, সরকারী ত্রাণের বাইরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ৯০ লাখ ২৫ হাজার ৩২৭ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছেন। নগদ টাকা দিয়েছেন প্রায় ৯ কোটি, যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এটা সরকারের সহায়তার বাইরে। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের যেসব জনপ্রতিনিধির নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল আলোচনায়। এর উত্তরে এস এম কামাল হোসেন বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন ৬১ হাজার ৫৭৯ জন। এ পর্যন্ত ৭২ জনপ্রতিনিধি অনিয়ম করেছেন, যা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাদেরকে নিজ নিজ দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির পাশাপশি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যারা এই অসৎ কাজগুলো করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পাশাপাশি দল ব্যবস্থা নিয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি এবং তাদের সহযোগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক কাঠামোর সমন্বয় না হলে কার্যক্রম সফল হত না। ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে যাদের বিরুদ্ধে, তাদের মধ্যে অনেকে ‘নিজের টাকায় ত্রাণের চাল’ এনেও অভিযোগে ‘ফেঁসেছেন’ বলে দাবি করেন তিনি।
×