ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ২২:৫২, ৪ জুন ২০২০

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় মৃত্যুর উর্ধগতি টেনে ধরা যাচ্ছে না। পঞ্চান্ন হাজার ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জনের মৃত্যু এবং ২৬৯৫ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৭৪৬ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ হাজার ১৪০ জনে। ২৪ ঘণ্টায় ৪৭০ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১১ হাজার ৫৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫১০টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় বুধবার নতুন রোগী শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়াল ২৩ শতাংশে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মাস্ক একটি প্রধান অস্ত্র। বুধবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৭৪৬ জন মারা গেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং নয় জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩১ জন এবং বাসায় ৫ জন মারা গেছেন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৯৫ জনকে। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ৬ হাজার ৪৯৮ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৩৭ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৫৪৪ জন ছাড় পেয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৮ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৮১৩ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১৪৫ জন এবং এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮৫ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৭ হাজার ৮২৮ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। রাজধানী ঢাকায় ৭ হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি। ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১১২টি। আর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
×