স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ করোনা ভাইরাস ও ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে কর্মহীন অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এবং কাঁচা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সেনা বাহিনী কক্সবাজারে ফের সেনা বাজারের আয়োজন করেছে। আজ বুধবার রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন এ আয়োজন করে।
ইতিপূর্বে ঈদের আগে ও পরে কক্সবাজার শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী যথা চাল, আটা, তৈল, লবন, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি সম্বলিত সেনাবাজারের আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের প্রান্তিক কৃষকদের নিকট হতে উপযুক্ত দামে সবজি সংগ্রহ করে বাজারে এনে অসহায় ও দুস্থ ৫০০ পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে এ বাজার সুবিধা প্রদান করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনা এবং সেনাপ্রধানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনার প্রভাবে ও সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রকোপের কারণে অসহায় দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের কল্যাণে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়েই সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নানাবিধ কর্মকাণ্ডের অংশহিসেবে এ সেনাবাজারের আয়োজন করা হয়েছে বলে সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায় যে, রামু জুলেখার পাড়া, খিজারী পাড়া, সিপাহিপাড়া, মন্ডলপাড়া, ফতেহারকুল, মেরুল্লা, রশিদ নগর ও ঈদগাহ এলাকা হতে সেনাসদস্য কর্তৃক বৌদ্ধ, হিন্দুসহ সকল সম্প্রদায়ের হত দরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরী করত বিশেষ টোকেন প্রদান করা হয়। সেনা বাজারের প্রবেশ পথে সেনাসদস্যদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল জীবাণুনাশক বুথ ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। এসব পণ্য ও আর্মির সহায়তা পেয়ে হত দরিদ্র মানুষগুলোকে উচ্ছসিত হতে দেখা গেছে। এ ধরনের মানবিক সহায়তার জন্য তারা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাছাড়া বর্তমানে হাতে টাকা-পয়সা একদম নেই বলা যায়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাল, আটা, লবণ, তৈল, আলু, বরবটি, কচুর লতি, লেবু, কাঁচামরিচসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এর আগে সেনাবাহিনী এ ধরনের বাজার পরিচালনার কথা শুনেছি। আজ নিজে বাজার হতে সুবিধা গ্রহণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। সেনাবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
