ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুইমাস বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদনে যশোরের ৩৪টি হ্যাচারি

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৩ জুন ২০২০

দুইমাস বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদনে যশোরের ৩৪টি হ্যাচারি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে যশোরে ৩৪টি মৎস্য হ্যাচারি দুইমাস বন্ধ থাকার পর ১ জুন থেকে আবারও উৎপাদনে গেছে। তবে ভরা মৌসুমে উৎপাদনের যেতে না পারায় রেণুপোনা খাতের উদ্যোক্তাদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান হ্যাচারি মালিকরা। এবার রেণুপোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দেড় লাখ কেজি। গত ২৮ মার্চ থেকে বন্ধ উৎপাদন বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। মার্চ মাস থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত রেণুপোনা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। দেশের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ রেণু পোনা যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়। চাঁচড়া মৎস্যপল্লীর ৩৪ টি হ্যাচারিতে গত বছর প্রায় দু’লাখ ৬০ হাজার কেজি রেণু উৎপন্ন হয়। রেণুপোণা উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট, পোনার দাম কমে যাওয়া এবং বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবার কারণে হ্যাচারিগুলো বন্ধ করতে তারা বাধ্য হয়েছিলেন। যশোর জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি ও ফাতিমা হ্যাচারির স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ খান জানান, যশোরে গত বছর আমরা ২ লাখ কেজি রেণুপোনা উৎপাদন করেছিলাম। এবছর অর্ধেকে নেমে এসেছে লক্ষ্যমাত্রা। এতে হ্যাচারি মালিকদের ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদনের গেলেও আমরা বিদ্যুৎ বিল ও পোনার হরমন ইনজেকশন পিজি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেননা আগে আমরা বিদ্যুৎ বিল দিতাম কৃষিতে। এখন সেখানে দিতে হচ্ছে শিল্পরেটে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুন। এছাড়া মাছের হরমন ইনজেকশন পিজি আগে প্রতিপিস ছির ৮ টাকা, সেখানে এখন কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রেণু পোনা উৎপাদনেও যশোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জেলায় ৩৪টি হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে কার্প জাতীয় রেণু পোনা উৎপাদন ৬৪ দশমিক ৮৬ মেট্রিক টন। জেলায় রেণু পোনার চাহিদা ১৫ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন। উদ্ধৃত ৪৯ দশমিক ৬৩ মেট্রিক টন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তেলাপিয়া পোনা ১০১ দশমিক ৪০ মিলিয়ন উৎপাদন হচ্ছে। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৮৫ টন। তেলাপিয়ার উদ্ধৃত ৬ দশমিক ৫৫ টন। পাঙ্গাশ রেণু উৎপাদন ৩ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন এবং শিং মাগুর, পাবদা, গুলসা রেণু উৎপাদন শূন্য দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন। এ বিষয়ে যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাব আমাদের মৎস্য সেক্টরে পড়েছে। দীর্ঘদিন রেণুপোনা উৎপাদন বন্ধ থাকলে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়বে। এজন্য আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত আকারে রেণুপোণা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারি মালিকদের বলেছি। তারা উৎপাদন শুরু করেছে।
×