ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলিকে দেখে ফিটনেস রক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন তামিম ইকবাল

ভারতকে হারানোর অনুভূতি অনেক মধুর

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ৩ জুন ২০২০

ভারতকে হারানোর অনুভূতি অনেক মধুর

মোঃ মামুন রশীদ ॥ কয়েকটি ক্রিকেট সিরিজের ফাইনাল হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসরের নকআউট ম্যাচও হয়েছে দুদলের মধ্যে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ^কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই দুদলের ক্রিকেটীয় লড়াইটা উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এক সময় ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানেই যে ¯œায়ু টানটান উত্তেজনার বিষয় ছিল তা এখন বদলে বাংলাদেশ-ভারত লড়াইয়ে দেখা যায়। মূলত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আগের মতো নিয়মিত খেলা না হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট লড়াইয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যেও অনেক উত্তেজনা দেখা যায়। এমন ম্যাচ জিতলে আত্মতৃপ্তিটা নিশ্চিতভাবেই বেশি থাকে। ইএসপিএনক্রিকইনফোর লাইভ আড্ডায় জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারকে এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি দাবি করলেন বাংলাদেশ দল অন্য সবার সঙ্গে জিতলেও ভারতকে হারিয়ে দিতে পারলে বেশি তৃপ্তি পায়। এ সময় এ বাঁহাতি ওপেনার আরও দাবি করেন ভারতীয় অধিনায়কের অনুশীলন ও ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা দেখে তিনিও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ^কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৬ টি২০ এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ সালের টি২০ বিশ^কাপের ম্যাচ, ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের ফাইনাল এবং একই বছর এশিয়া কাপ ফাইনাল- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই কয়েকটি ক্রিকেট লড়াই সবার স্মৃতিতেই অটুট। এই ম্যাচগুলো ছিল উত্তেজনায় ভরপুর এবং ¯œায়ু টানটান। দুদলের মধ্যে ক্রিকেটযুদ্ধ বর্তমান সময়ে ভিন্ন এক মাত্রাই পেয়েছে। এখন দুদলের লড়াইয়ের দিকে সবারই অন্যরকম মনোযোগ ও দৃষ্টি থাকে। উভয় দেশের মানুষও এ লড়াইয়ের আগে-পরে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন। উভয় দলেরই ভক্ত-সমর্থকরা চান জয় দেখতে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যেও থাকে এই উত্তেজনা। তা বর্তমানে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের কথাতেই স্পষ্ট। তিনি মাঞ্জেরেকারকে লাইভ আড্ডায় বললেন, ‘ভারতকে হারানোই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ভারত এত শক্তিশালী একটা দল, এত বড় দল, ভারতের বিপক্ষে জয় মানে অন্য কিছু। আমার মনে হয় না, এটা ঘৃণা থেকে আসে, বা এমন নয় যে ওদের হারাতেই হবে। ব্যাপারটা হলো সেরা দলকে হারানোর তৃপ্তি। পাকিস্তানকে হারানোও। আসলে পাকিস্তান-ভারত, অনেক বড় দল তারা, দীর্ঘ ঐতিহ্য তাদের। তাদের বিপক্ষে যেকোন জয়ই বড় জয়।’ ওয়ানডেতে টানা ১২ হারের পর ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেশের মাটিতে সর্বপ্রথম ভারতকে হারাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। সেই জয়সহ পরবর্তী ২৪ ম্যাচে ভারত ১৮ আর বাংলাদেশ ৫ জয় পেয়েছে। আর টি২০ ফরমেটে তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই করলেও ১১ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জয় মাত্র ১টি। ভারতীয় অধিনায়ক কোহলিকেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার পর অন্যরকম উত্তেজনায় দেখা যায়। ব্যাপক স্লেজিংও করেন বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টা বাদ রেখে তার কাছ থেকে একটি বিষয় দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তামিম। তা হচ্ছে ফিটনেস ধরে রাখতে কোহলির কঠিন নিয়মানুবর্তিতা ও পরিশ্রম। তাকে দেখে মানসিকতায় পরিবর্তন আনা বিষয়ে তামিম বলেন, ‘২-৩ বছর আগে যখন আমি বিরাটকে দেখেছি জিমে কাজ করতে, রানিং ও অন্য সবকিছু, নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগত আমার। মনে হতো, ‘এই ছেলেটি, সম্ভবত আমার বয়সীই, এ ধরনের কাজ করছে, এত ট্রেনিং করছে ও সাফল্য পাচ্ছে, আমি হয়তো তার অর্ধেকও করছি না। তার পর্যায়ে যেতে না পারি, অন্তত তার পথ তো অনুসরণ করার চেষ্টা করতে পারি।’ এ সময় তামিম দাবি করেন ২০১৫ সালের তুলনায় এখন তার ওজন কমেছে ৯ কিলোগ্রাম। এ সময় সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের কথাও স্মরণ করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলেও দারুণ এক উদাহরণ আছে, মুশফিকুর রহিম। সে এমন একজন, যাকে অনুসরণ করা যায়। হ্যাঁ, কোহলি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। মুশফিকও বাংলাদেশ দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটারের আদর্শ হতে পারে।’
×