ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাকিবের মতো তিনিও ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশা করছেন

বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন রিয়াদ

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ৩ জুন ২০২০

বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন রিয়াদ

মিথুন আশরাফ ॥ এ বছর অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপের ভবিষ্যত কী? তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। তবে ক্রিকেটাররা এখন ২০২৩ সালের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ টি২০ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যেমন বলেছেন, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ জিততে চান। এর আগে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও একই কথা বলেছিলেন। মাহমুদুল্লাহর কাছ থেকে ব্যক্তিগত লক্ষের কথা জানতে চাইলেই তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষের কথা যদি বলি, তাহলে বলব যে আমরা ২০২৩ বিশ্বকাপ জিততে চাই। আর নিজেকে কোথায় দেখতে চাই সেটি নিয়ে আমি এখনও চিন্তা করি না।’ করোনাভাইরাসের প্রভাবে খেলাগুলো বন্ধ হয়ে আছে। স্থবির হয়ে আছে পুরো দেশ। সংক্রমণের শঙ্কায় রয়েছে প্রতিটি মানুষ। এমতাবস্থায় বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আমার কাছে মনে হয় বেঁচে থাকাই এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। আগে বেঁচে থাকতে হবে, ঠিক থাকতে হবে এরপরে অন্য জিনিস নিয়ে ভাবা যাবে। প্রতিটি দিনই এখন চ্যালেঞ্জের।’ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। আর এই বিশ্বকাপ জিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে চান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এক ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যাশার কথাই ব্যক্ত করেছেন তিনি। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা ছিল পরবর্তী (২০১৯ সালের) বিশ্বকাপে আরও ভাল করার। কিন্তু গত বছর অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি টাইগাররা। ৯ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে আট নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে তারা। তবে এই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি আগামী বিশ্বকাপে চান না মাহমুদুল্লাহ। এর আগে সাকিবও এমনই প্রত্যাশার কথা জানান। ২০২৩ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার কথা বলেন। সাকিব বলেন, ‘আমি অবসরের আগে বিশ্বকাপ জিততে চাই। তাই আমার লক্ষ্য তেইশেই (২০২৩ বিশ্বকাপ) যেন বিশ্বকাপ জিতি। তাহলে সাতাশের (২০২৭ বিশ্বকাপ) জন্য এত কষ্ট করতে হবে না। এতদিন খেলাও লাগবে না। সাতাশের বিশ্বকাপ আসতে তো আরও সাত বছর। এদিকে তেইশের বিশ্বকাপ তো আড়াই-তিন বছর পরই। সেদিক থেকে তেইশই সহজ। তেইশে এশিয়াতে খেলা হবে তাই আমাদের বড় সুযোগ থাকবে।’ গত বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো সাকিব বলেন, ‘যদিও এশিয়াতে খেলা হলে এশিয়ার বাকি দেশগুলোর জন্যও বড় সুযোগ তৈরি হবে। অনেক কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। আমাদের অনেক নতুন খেলোয়াড় থাকবে, হয়ত ভাল পারফর্ম করতে সক্ষম খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি থাকবে।’ মাহমুদুল্লাহও সাকিবের মতো ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ জেতার আশা করেছেন। তাতে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে মহা পরিকল্পনাতেই আছেন। তবে মাহমুদুল্লাহ যেহেতু টি২০ দলের অধিনায়ক, তার এই ফরমেটের খেলা নিয়েও আছে প্রত্যাশা। মাহমুদুল্লাহ যেমন মুমিনুল হককে টি২০ দলে চান। এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি মনে করি মুমিনুল অনেক বেশি সামর্থ্যবান। যদি সে সুযোগ পায় আমি বিশ্বাস করি সেটা সে কাজে লাগাতে পারবে এবং নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে এই ফরম্যাটেও।’ তিন ফরম্যাটের জন্যই আদর্শ এক ব্যাটসম্যান হতে পারেন মুমিনুল উল্লেখ করে মাহমুদুল্লাহ আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে মুমিনুল একজন পরিপূর্ণ ক্রিকেটার। সে টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ সব ফরমেটে খেলতে পারে। এমন না যে সে টেস্ট খেলছে তাই ওর গায়ে টেস্টের তকমা লেগে গেছে। আমি বিশ্বাস করি সে যেকোন ফরমেটে ভাল খেলতে পারে, যদি তাকে সুযোগ দেয়া হয় এবং তার প্রতি বিশ্বাসটি রাখা হয়।’
×