ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় পাইলট দম্পতির মৃত্যু

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৩ জুন ২০২০

করোনায় পাইলট দম্পতির মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনায় স্ত্রী বিয়োগের সাত দিনের মাথায় চলে গেলেন পাইলট স্বামী আলী আশরাফ খান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মেধাবী এই পাইলট মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পরিবারের আরও ৫ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৭ মে স্ত্রী মিসেস রীনা খান মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। তার মৃত্যুর খবরে বিমান অফিসে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে আলী আশরাফ খান দম্পতির অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন শেখ নাসির উদ্দিন আহমেদ। পৃথক শোক বার্তায় তারা বলেন, আলী আশরাফ ছিলেন বিমানের একজন মেধাবী ও দক্ষ বৈমানিক। পেশাগতভাবে তিনি অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই দম্পতির বিদেহী আত্মার শান্তি ও পরিবারের অন্যদের করোনা ব্যাধি থেকে দ্রুত মুক্তি কামনা করছি। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত দুসপ্তাহ যাবত আলী আশরাফ খানের পরিবারের সাত সদস্যই করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, কন্যা ও দুই গৃহপরিচারিকা একে একে করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথমদিকে তার অবস্থা মোটামুটি ভালই ছিল। এ অবস্থায় গত ২৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে। এ খবর পাওয়ার পর থেকেই তার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। দুর্ভাগ্যবশত তার অবস্থার ক্রমাবনতি ঘটতে থাকে। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার তার মৃত্যু ঘটে। আলী আশরাফ খান টাঙ্গাইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পরই তিনি ফ্লাইং প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ বিমানে যোগদান করেন। এরপর টানা ৩৫ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়াারলাইন্সের পাইলট হিসেবে চাকরি করে অবসর জীবন যাপন করছিলেন। তিনি বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ পাইলট এ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ছিলেন। কর্মময় জীবনে আলী আশরাফ খান বিমানের ডিসি-১০, এয়ারবাস ৩১০ এবং বেয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এর পাইলট হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। আলী আশরাফ খান ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
×