ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের মৃত্যু

করোনায় মৃত্যু সাত শ’ ও আক্রান্ত ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ৩ জুন ২০২০

করোনায় মৃত্যু সাত শ’ ও আক্রান্ত ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেড়েই চলেছে করোনায় দৈনিক নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সাতশ’ অতিক্রম করেছে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা এবং পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জনের মৃত্যু এবং ২৯১১ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৭০৯ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৫২৩ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১১ হাজার ১২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৭০৪টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় মঙ্গলবার নতুন রোগী শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়াল ২৩ শতাংশে। মঙ্গলবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রংপুর বিভাগে দুই জন, বরিশালে তিন জন, রাজশাহীতে দুই জন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে চার জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছে ৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৭০৪টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৮৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬ হাজার ২৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬৯ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৫০৬ জনকে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৮৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৭ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৮ হাজার ৫৪৫ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। রাজধানী ঢাকায় ৭ হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি। ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১১২টি। আর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীর মৃত্যুহার বেশি ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এ পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৬০ বছরের বেশি ৪২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৭ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৭ শতাংশ, ২১ থেকে ২৯ বছরের ৩ শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে বয়সীরা ২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী রোগীর মধ্যে কেউ মারা যাননি। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি ৪ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৩ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৩ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৪ শতাংশ, ২১ থেকে ২৯ বছরের ২৬ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৪ শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে বয়সীরা ৩ শতাংশ। করোনায় মৃতের হার ৭১ শতাংশ পুরুষ এবং ২৭ শতাংশ নারী। আর আক্রান্তের হার ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী।
×