ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ দিন থাকবে না সুদিন আসবে

প্রকাশিত: ২২:২৯, ৩ জুন ২০২০

এ দিন থাকবে না সুদিন আসবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে স্বয়ংসম্পূর্ণ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) দ্রুত নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। খারাপ দিন কেটে গিয়ে সুদিন ফিরে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণের কথাই তাঁর সরকার সবচেয়ে বেশি চিন্তা করছে। প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। প্রায় আড়াই মাস পর অনুষ্ঠিত একনেক সভা হলো ভার্চুয়ালি। যেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সংযুক্ত ছিলেন। অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবরা শেরেবাংলা নগর এনইসি সভা থেকে সংযুক্ত ছিলেন। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসহ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন আকন্দ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভায় বক্তব্যে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরকম দিন থাকবে না। আমরা যেকোন প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে পারব। সেভাবেই আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখেই নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হবে। যেন দেশের মানুষ কষ্ট না পায়। আমরা দেশের অসহায় মানুষের কথা বেশি চিন্তা করি। তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে গতিশীলতা পেয়েছিল করোনাভাইরাস আসায় সেখানে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী চলছে। আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন্ধ প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। যাতে খেটে খাওয়া, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত প্রত্যেকে তাদের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারে। সেজন্যই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, করোনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব বলতে গেলে স্থবির। সব জায়গায় এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। আমরাও তার থেকে বাইরে না। বৈঠকের বক্তব্যে সরকার প্রধান দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সেটা মেনেই আমাদের চলতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকে। মনে রাখতে হবে নিজের সুরক্ষা মানে অপরকে সুরক্ষিত করা। আমরা সবাই নিজের পরিবার এবং সহকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতিতে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল তাতে আমাদের আশা ছিল ২০২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বিশেষ করে লক্ষ্য ছিল এই মুজিববর্ষেই আমরা আমাদের দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনে বাংলাদেশকে একটা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাব। করোনার কারণে সেই গতিশীলতা কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। তবে এরকম দিন থাকবে না। আমরা যেকোন প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে পারব। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) আলোচনায় আজকে যেটা এসেছে, আইসিইউ ইউনিট ও অক্সিজেন সরবরাহ স্থিতিশীল ও পর্যাপ্ত করার জন্য। ভেন্টিলেটরও দিতে হবে যেখানে প্রয়োজন। এম এ মান্নান জানান, একনেকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কেননা তিনি করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের অনেক সরকার প্রধানের চেয়ে ভাল করেছেন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলাতেও তিনি সফল হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব ফোন করে এবং বিবৃতি দিয়ে পর্যন্ত সেটি বলেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত না হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষভাবে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প ছিল করোনা মোকাবেলা সংক্রান্ত। বাকি দুটি প্রকল্প ছিল প্রাথমিক উপবৃত্তি ও মসজিদভিত্তিক শিশুশিক্ষা সংক্রান্ত। চারটি প্রকল্পই একনেকে উপস্থাপন করা হয়। সেগুলোতে কোন ধরনের পরিবর্তন আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক ব্যয়ের প্রস্তাব আছে দুটি প্রকল্পের মধ্যে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) উচ্চতর অগ্রাধিকার দিয়েছেন জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে শুধু আইসিইউ স্থাপন নয়, এটাকে যন্ত্রসজ্জিত করতে হবে। একটা আইসিইউতে যেসব যন্ত্রপাতি থাকার কথা, সেগুলো সরবরাহ করতে হবে। অতি জরুরীভিত্তিতে এগুলোকে আপডেট করতে হবে। অক্সিজেনের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। তিনি চান এটা যেন আরও বৃদ্ধি পায়। হাই ফ্লো অক্সিজেন সাপ্লাইয়ে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা দিতে হবে বেশি করে। এই যে দুটি প্রকল্প পাস করলাম, তার (প্রধানমন্ত্রীর) ধারণা যে, এখানে যে ব্যয় করা হবে, ব্যয়গুলো এসব বিবেচনায় নিয়ে যেন করা হয়। নিজের মতো তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এছাড়া বিভিন্নজন বিভিন্ন আলোচনা করেছেন। মনিটরিং করতে হবে, যন্ত্রপাতি কিনে অনেক সময় ব্যবহার করে না এগুলো বর্জন করা দরকার। এগুলো আমাদের চলমান সমস্যা। আমি দেখে এসেছি। আমি অস্বীকার করি না। এটা কমিয়ে আনার জন্য, সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য বারবার আবেদন এসেছে। আজকেও আবেদন এসেছে। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব ছিলেন। দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সবাই স্বীকার করেন, আমরাও স্বীকার করি যে, অন্যান্য খাতের মতো আমাদের স্বাস্থ্যখাতেও অনেক ঘাটতি আছে। এটা লুকিয়ে রাখার কোন বিষয় নয়। এটাকে আপডেট করা খুবই দরকার। তবে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যদি ঘাটতি থাকে, এটার ভয়ঙ্কর পরিণত হয়। জীবন-মরণের প্রশ্ন। এ জন্য করোনার মধ্যেও আমরা নিয়মিত মিটিং না করে স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। সুতরাং যারা সরকার পরিচালনা করেন, উচ্চ সচেতনতা তাদের মধ্যে আছে। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমরা যথেষ্ট ব্যয় করছি। কিন্তু অনেকেই বলেন, এই ব্যয় অন্য দেশের তুলনায় কম। মনে রাখতে হবে, উন্নত দেশগুলোর জিডিপির আকার বড় হলেও জনসংখ্যা কম। বিপরীতে আমাদের জিডিপির আকার অত বড় না হলেও জনসংখ্যা অনেক বেশি। তারপরও আমরা সবাই স্বীকার করি, স্বাস্থ্যখাতে অনেক ঘাটতি আছে। সেই ঘাটতি মেটাতে স্বাস্থ্যখাতে প্রচুর বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে। আমি মনে করি, এই সরকারের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ হচ্ছে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগ। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সাধারণ ছুটির মধ্যে বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্প, যার ব্যয় ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি এ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্প, যার ব্যয় ১ হাজার ৩৬৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া ৬ হাজার ৮৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়, দ্বিতীয় সংশোধিত) এবং ৩ হাজার ১২৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (সপ্তম পর্যায়) প্রকল্প দুটিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও ছয় প্রকল্প হলো- শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্প, ব্যয় ১ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা; শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সংশোধিত প্রকল্প, ব্যয় ১ হাজার ২৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা; কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও লাভজনক করা, ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা; মানসম্মত মসলা বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণ, ব্যয় ৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা; সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১, ২, ৬-৮ এবং ৬-৮-এর (এক্সটেনশন) নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ব্যয় ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা; এবং দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত), ব্যয় ৩৯৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একনেক সভায় কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল ছাড়াও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা সঙ্কটেও সব খাতে মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি ॥ করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের খাদ্যখাতে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। চলতি বছরের মাসওয়ারিতে মে মাসে সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হারে দিয়েছে স্বস্তি। তিন খাতেই মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। মে মাসে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, এপ্রিল মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। কোভিড-১৯ এ নিত্যপণ্য সরবরাহে মূল্যস্ফীতি বাড়েনি বলে দাবি করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া মে মাসে ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সবশেষ হালনাগাদ তথ্যের বরাতে তিনি একথা জানান। বিবিএস’র দাবি এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে মাছ, শাক-সবজি বিশেষ করে আলু, বেগুন, শিম, কুমড়া, গাজর, শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক ও মূলার দাম কমেছে। ফলজাতীয় পণ্যের মূল্যও কমেছে। মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামও মাসওয়ারি কমেছে বলে দাবি করে বিবিএস। একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়, ২০২০ সালের মে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মে মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এপ্রিল মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিবিএস’র তথ্যানুযায়ী, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে-তে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ-মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর দাম কমেছে। এছাড়া মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও কমেছে। এদিকে মে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
×