ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সহিংসতা দমনে সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ২ জুন ২০২০

সহিংসতা দমনে সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতা দমাতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার রোজ গার্ডেনে দেয়া বক্তব্যে বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নরদের সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, আইনের শাসন রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ হলে কঠোর এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন তিনি। তবে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন রাজ্য কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম এতো বড় বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও ক্রমেই সহিংস হচ্ছে আন্দোলন। সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছে খোদ হোয়াইট হাউজ। এর আগে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাজ্যের গবর্নরদের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প। নির্দেশ দেন প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার। এবার আহ্বান নয় সরাসরি হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।ডনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যেক আমেরিকানের জানমালের রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারও ন্যায় বিচার পাবে। কিন্তু বিক্ষোভের নামে যা হচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না। অনেক রাজ্যেই সাধারণ মানুষ ক্ষতির শিকার হচ্ছে। আমি গর্ভনরদের বলবো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হোন। না হলে সব রাজ্যে সেনা মোতায়েন করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না। ওয়াশিংটন ডিসি ফেডারেল সরকারের অধীনে থাকায় এরই মধ্যে সেখানে অন্তত আড়াইশ সেনা মোতায়েন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বক্তব্য শেষে নিরাপত্তার স্বার্থে পায়ে হেটে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যান ট্রাম্প। শুক্রবার বিক্ষোভের মুখে হোয়াইট হাউজের বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, মার্কিন গণমাধ্যমে এই ধরনের খবর প্রচারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত হোয়াইট হাউজের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন তিনি। জাতীয় সংকটে প্রেসিডেন্টের এমন ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছে বিরোধী শিবির। সহিংসতা মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন হিলারী ক্লিন্টন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে রাজ্যের গভর্নরদের একের পর এক আক্রমণ করায় প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছেন মিশিগানের গভর্নর। প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তে অসন্তোষ দেখা গেছে খোদ পেন্টাগনে।
×