ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও চসিক নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২ জুন ২০২০

৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও চসিক নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শূন্য ঘোষিত চারটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এবং স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসি। করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিনদিন বাড়ছে- এই অবস্থায় ভোটের আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উন্নতির ওপর বলে মনে করছে তারা। দীর্ঘদিন পর এসব নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার ইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে বৈঠক। তবে বৈঠক সূত্র জানা গেছে, ইসি মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সরকারের। তাই চসিকসহ অন্য নির্বাচন সরকার যখন চাইবে, তখন করবে ইসি। তারপরও সব নির্বাচনের পর্যালোচনামূলক প্রস্তাবনা নথিতে দিতে কমিশন সচিবালয়কে বলেছে ইসি। সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সোমবার বৈঠকে ইসি সচিবালয়ের কাছে এ প্রস্তাবনা চেয়েছে কমিশন। ৬৩তম কমিশন বৈঠকটি ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকেলে তিনটায় অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজেন্ডা অনুযায়ী, বগুড়া-১, যশোর-৬, পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ সংসদীয় শূন্য আসন আর চট্টগ্রাম সিটির ভোট নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়। গত ২৯ মার্চ চসিকের সাধারণ নির্বাচন, যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোটগ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে তা স্থগিত করা হয়। বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী সংবিধানে প্রদত্ত ৯০ দিন সময় পার হয়ে গেছে। দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত নব্বই দিন সময় বর্তমানে সিইসির হাতে আছে। অর্থাৎ, আসনশূন্য হওয়ার মোট ১৮০ দিন সময়ও পার হয়ে যাবে জুলাই মাসে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৫ জুলাই এবং যশোর-৬ আসনে ১৮ জুলাই ভোটের সময় শেষ হবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিনদিন বাড়ছে। এই অবস্থায় ভোটের আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উন্নতির ওপর। ইসি কর্মকর্তারা জানান, আইন অনুযায়ী নির্বাচনের সব সময়সীমা পার হয়ে গেলে সুপ্রীমকোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। যদিও সিইসি ইতোমধ্যে বলেছেন, তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে সুপ্রীমকোর্টের কাছ থেকে প্রয়োজনে ব্যাখ্যা নেবেন।
×