ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার চিকিৎসায় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল গড়ছেন চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা ॥ থাকবে আইসিইউ সুবিধা

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ২ জুন ২০২০

করোনার চিকিৎসায় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল গড়ছেন চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা ॥ থাকবে আইসিইউ সুবিধা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ করোনার চিকিৎসাসেবা বাড়াতে আইসিইউ ও ভেন্টিলাইজেশন ব্যবস্থা সংবলিত ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল গড়ছেন চট্টগ্রামের এক উদ্যোক্তা। চীনের উহান সিটিতে এ ধরনের হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। গাড়িতে স্থাপিত এই হাসপাতালকে বলা হয় ‘ক্যারাভান হসপিটাল’, যা প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। ৭২ শয্যার এই হাসপাতাল তৈরিতে ব্যয় হবে প্রায় ৮ কোটি টাকা। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কেএন হারবার কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হাসান মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর মিরপুর বাংলা কলেজ ক্যাম্পাসে এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলছে। মোট ২৫টি ক্যারাভানে ৭২টি শয্যা থাকবে। এই বিষয়ে তারা ইতোমধ্যে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছে। সরকারী এই দফতর থেকেও তাদের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও (এডিবি) ক্যারাভান হাসপাতাল তৈরির পক্ষে মত দিয়েছে। কেননা, এই হাসপাতাল দেশের যে কোন জায়গায় স্থানান্তর করা যাবে। চীনের উহান সিটিতেও করোনা চিকিৎসায় এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ব্যবহৃত হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, মূলত ভ্যানের ওপর স্থাপিত ৪০ ফুট ও ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ২৫টি কন্টেনারে হাসপাতালগুলো তৈরি করা হবে। তাদের কাছে হাসপাতাল করার উপযোগী ক্যারাভান রয়েছে। সরকারের অনুমতি পেলেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী যেমন আইসিইউ ও ভেন্টিলাইজেশন সুবিধা সংযোজন করে হাসপাতালে রূপান্তর করা যাবে। প্রস্তাবিত ৭২ শয্যার হাসপাতালে থাকবে অফিস, ডাইনিং হল, সম্মেলন কক্ষ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানে ব্যবস্থা। সব ক্যারাভান হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, থাকবে অভ্যন্তরীণ পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা। প্রসঙ্গত, কেএন হারবার কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামের এই প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুত, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। গ্যাস উৎপাদন ও খননের সঙ্গে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠান নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৪ নম্বর গ্যাসকূপ খননের কাজ করছে। সেখানেই তাদের ২৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত ক্যারাভান রয়েছে, যেখানে রোগীদের জরুরী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই প্রতিষ্ঠানটি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন সঙ্কট রয়েছে। এতে বিপুল রোগীকে চিকিৎসা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল নির্মাণ করা গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় এটি যেমন সংযোজন হবে তেমনিভাবে তা দেশের যে কোন স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করবে, এমনই আশাবাদ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানটির।
×